পোশাকশিল্প মালিকদের জামার্ন রাষ্ট্রদূত

ন্যায্য বেতন, নিরাপদ কমর্পরিবেশ দিন

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
পিটার ফাহরেনহোল্জ
পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে এই সংঘাতের একটি ‘শান্তিপূণর্ ও ন্যায্য’ সমাধান প্রত্যাশা করেছেন জামার্ন রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্জ। বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ধমর্ঘটকারী গামের্ন্টশ্রমিকদের দমন করা উচিত নয়। সমঝোতা করতে হবে কারখানা মালিকদের। তাদের ‘ন্যায্য বেতন ও নিরাপদ কমর্পরিবেশ দিন। দুঘর্টনার বীমা চালু করুন। সরকারের পেছনে গিয়ে লুকোবেন না।’ আরেক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি এই সংঘাতের একটি শান্তিপূণর্ ও ন্যায্য সমাধানের পক্ষে।’ বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতাদের অন্যতম জামাির্ন। ‘ন্যায্য’ বেতনের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন গামের্ন্টশ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের জন্য যে নতুন বেতন কাঠামো নিধার্রণ করে দিয়েছে, মালিকপক্ষ সে অনুযায়ী বেতন দিচ্ছে না। বরং তাদের নানাভাবে ‘অন্যায়-অবিচারের’ শিকার হতে হচ্ছে। তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নিধার্রণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে সেটা কাযর্কর করার নিদের্শনা দেয়া হয়েছিল সেখানে। অথার্ৎ জানুয়ারির বেতন নতুন কাঠামোয় পাবেন শ্রমিকরা। কিন্তু গত রোববার ঢাকার গুরুত্বপূণর্ প্রবেশমুখ বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকটি কারখানার পোশাকশ্রমিকরা। এরপর প্রতিদিনই তারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভের চেষ্টা করছেন। সাভার, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরাও নামেন বিক্ষোভে, যা সংঘাতে রূপ নেয়। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নতুন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান মঙ্গলবার বিকালে গামের্ন্ট মালিক, শ্রমিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কমর্কতাের্দর নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, দেড় মাস আগে ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো পযাের্লাচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা, বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো চলছে তাদের আন্দোলন।