বিবিসির বিশ্লেষণ

নতুন মন্ত্রীদের অনভিজ্ঞতা কি সমস্যা হতে পারে?

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের সরকারে ডাকসাইটে সব নেতাকে বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভায় বেশির ভাগ নতুন মুখ আনা হয়েছে। তাদের প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞতা ছাড়া মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া সদস্যরা সরকারের নীতি বাস্তবায়নে কতটা দক্ষতা দেখাতে পারবেন, বিশ্লেষকদের অনেকে এমন প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মনে করেন, মন্ত্রীদের অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার অভাব থাকলে আমলানিভর্র হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নিভর্রশীলতা বেড়ে যায়। নতুন মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন গত ৭ জানুয়ারি। তাদের অনেকেই দীঘর্সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীও রয়েছেন। কিন্তু ৩১ জন নতুন মুখের মধ্যে ২৭ জনই এই প্রথম মন্ত্রী হয়েছেন। তারা কতটা দক্ষতা দেখাতে পারবেন, সেই প্রশ্ন অনেকে তুলছেন। আওয়ামী লীগের নিবার্চনী ইশতেহারে দুনীির্ত দমন করাসহ জনপ্রিয় বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়েছে। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্যম নিয়ে এই ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিসভায় চমক এসেছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই চমকের মন্ত্রীদের জন্য অভিজ্ঞতার ঘাটতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে হেভিওয়েটরা বাদ পড়ায় দলের ভেতরে এবং বাইরের রাজনীতিও নতুন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘বড় চ্যালেঞ্জ হলো অভিজ্ঞতার চ্যালেঞ্জ। তারা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আমলাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যেটা ইশতেহারে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে দৃড়তার সাথে এগিয়ে যাবেন। সেখানে আমলারা বা প্রশাসন যদি বাধা হয়ে যায়, তাহলে কাজের গতি কমে যাবে।’ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরেকটা চ্যালেঞ্জ হলো ভেতরে এবং বাইরের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। ভেতরের চ্যালেঞ্জ হলো রাজনীতিক বলতে যাদের বোঝায়, তারা কিন্তু সবাই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের একটা অভিমান, ক্ষোভ থাকতে পারে। তারা তো দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তি। তাদের থেকে একটু অসহযোগিতা এলে, সেটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে’। তিনি রাজনৈতিক অস্থিতিশীল একটা পরিবেশের হুমকিও দেখছেন। তিনি বলেন, ‘একটা বড় বিরোধী দল তারা একেবারে অনুপস্থিত সংসদে। চার-পঁাচজন যে নিবাির্চত হয়েছেন, তারাতো বলেছেন, শপথ নেবে না। তারা না এলে এ সরকারের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে একটা দুবর্লতা রয়ে গেল। তারা কতদূর করতে পারবে, সেটা দেখার বিষয়। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার একটা হুমকি থেকে গেল।, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরীর মতো নেতারা সব মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং দলীয় রাজনীতির বাইরেও তাদের একটা বলয় বা শক্ত অবস্থান ছিল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক একজন সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, তিনি নতুন মন্ত্রিসভায় পুরোদস্তুর এবং প্রভাবশালী রাজনীতিকের অভাব দেখছেন। এটিও সরকারের কাজে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকের সংখ্যা কিন্তু এই মন্ত্রিসভায় কমে গেছে। এ কারণে আমি একটু দ্বিধান্বিত আছি যে, তারা কীভাবে বা কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন। আমাদের দেশে অথর্নীতির মূল উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, আমাদের একদিকে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, কিন্তু মানুষের আয়ের বৈষম্য বাড়ছে ব্যাপকভাবে।’ ‘এই বৈষম্য কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সেটা কিন্তু ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের কাছে মুখরোচক হবে না। তারা এদিকে যাবে না। রাজনীতিকরা যদি মূল কতৃের্ত্ব থাকতেন, তাহলে আশাটা বেশি হতো’ Ñ বলছিলেন মি. মজুমদার। আওয়ামী লীগ টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে আবারও সরকার গঠন করেছে। ফলে নতুন মুখ বেশি এনে মানুষের সামনে একটা বৈচিত্র্য তুলে ধরা বা নতুনত্ব দেখানোর একটা চেষ্টা ছিল। প্রভাবশালী রাজনীতিকরা বাদ পড়ার পাশাপাশি শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম বা নুরুল ইসলাম নাহিদের মতো যাদের নিয়ে সরকারকে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল, তারাও বাদ পড়েছেন, এমন যুক্তি দলটির অনেকে দিয়েছেন। এখন বষীর্য়ান নেতাদের দলের কাজে লাগিয়ে সরকার এবং দলের মধ্যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আনার চেষ্টার কথাও বলছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। তবে নতুন মন্ত্রীরা প্রশাসনকে কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেবেন, একই সঙ্গে তাদের প্রধানমন্ত্রীর ওপরই নিভর্রশীলতা বেড়ে যাবে কিনা, এসব প্রশ্ন থেকে যায় বলে উল্লেখ করেছেন মানবাধিকার কমীর্ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দিন আগে নিজে একটা কথা বলেছেন যে, মন্ত্রীরা নজরদারিতে থাকবেন। এখন সেটা কি প্রধানমন্ত্রীর নজরদারিত থাকবেন নাকি জনগণের নজরদারিতে থাকবেন, সেটা একটা মৌলিক প্রশ্ন আমাদের। এখন যারা নতুন মন্ত্রী হলেন, তাদের দায়িত্ব টিম হিসেবে জনগণের জন্য অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটানো নাকি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নিভর্রশীল হয়ে কাজগুলো করা? এই প্রশ্ন থাকে।’ সুলতানা কামাল বলছেন, ‘আমলাতন্ত্রের যে বিষয় আছে, সামরিক বেসামরিক আমলা, তাদের ওপর এদের নিয়ন্ত্রণ কেমন হবে? মন্ত্রী হিসেবে সেই জায়গায় তাদের অবস্থান দৃঢ় করতে পারবেন, এই বিষয়টাও কিন্তু আমাদের দেখার আছে।’ সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, মন্ত্রিসভা থেকে বাদপড়া পুরনোরাও আগে যখন প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন, তারাও তখন নতুন ছিলেন এবং রাজনীতিকরা যেকোনো বিষয়ে দ্রæত শিখতে পারেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের সরকার শক্ত অবস্থানে থেকেই নীতি বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে তাদের যুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন, নতুনরা নিজেরাই দক্ষতার সাথে প্রশাসন চালাতে পারবেন বলে তারা বিশ্বাস করেন। ‘নতুনদের প্রায় সকলেই কোনো-না-কোনোভাবে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। আর সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের এখানে আমলারা যে খুব বেশি করতে পারেন, তা নয়। এটা ব্যক্তিত্বের ওপর নিভর্র করবে।’ ‘একটা কালেকটিভ জবাবদিহিতা আছে তো। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সাধারণত হস্তক্ষেপ করেন না, মোটেও করেন না। বরং তিনি বলে দেন যে, তোমরাই কাজগুলো করো।’ বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা থাকলেও সরকার প্রধানমন্ত্রী-কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। আগের সরকারগুলোর কমর্কাÐে বিভিন্ন সময়ই দৃশ্যমান হয়েছে, সিনিয়র মন্ত্রীরাও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থেকেছেন। এটা সরকারেরও অনেকে স্বীকার করেন। সেই প্রেক্ষাপটে এবার মন্ত্রিসভায় নতুনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের নিভর্রশীলতার প্রশ্ন সামনে আসছে। দীঘর্সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে থাকলেও এবারই প্রথম মন্ত্রী হয়ে গুরুত্বপূণর্ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের নতুনদের নিয়ে সন্দেহ বা বিভিন্ন প্রশ্নের কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না। ‘সন্দেহটা কেন আসবে? মন্ত্রী হিসেবে আমি নতুন। কিন্তু প্রশাসন চালানোর জন্য আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। এই মন্ত্রিসভার নতুনদের সকলের ক্যারিয়ার অনেক বণার্ঢ্য এবং বহুমুখী প্রতিভার বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা অনেক সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। চ্যালেঞ্জ আছে বটে। কিন্তু তা মোকাবেলা করার যোগ্যতা সবার আছে।’ এই মন্ত্রিসভা গঠনের পর আওয়ামী লীগেরই সব পযাের্য়র নেতা অবাক হয়েছেন। প্রভাবশালী নেতারা সব বাদ পড়ে যাবেন, এটা তারা ভাবতেই পারেননি। দলটির তৃণমূলসহ বিভিন্ন পযাের্য় কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া যায়। বাদপড়া নেতারাও বিস্মিত হয়েছিলেন। তবে তারা সবাই কিন্তু এর পক্ষেই কথা বলছেন। তারা তাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর আস্থা কথাই তুলে ধরছেন। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, তাদের নেত্রী এবার চতুথর্বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার অভিজ্ঞতার কারণে নতুনরাও গতিশীল হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘যে যত কথাই বলুক, আমি মনে করি, যিনি দক্ষতা অজর্ন করেছেন, তিনি এই মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দেবেন। তিনিই পরিচালনা করবেন। তারপরে আমাদের যারা সচিব আছে, তারাও তাদেরকে সহযোগিতা করবে। ফলে নতুনদের মন্ত্রণালয় পরিচালনায় কোনো অসুবিধা হবে বলে আমি মনে করি না।’ ‘অনেকে প্রশ্ন করে যে, নবীন প্রবীণ, যারা এখানে আছে বয়স কিন্তু কারও কম না। ৬০-এর উপরে অনেকেরই বয়স। এমনকি ৭০-এর উপরও আছে। সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে নতুনরা দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে।’ বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, নতুন মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বেশি অনুগত হবেন। সেটা সরকার পরিচালনার জন্য একটা ইতিবাচক দিক হতে পারে। এরপরও শেখ হাসিনার জন্য এই নতুনদের নিয়ে কাজ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের শরিক বিকল্প ধারার নেতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীও বলেছেন, এটি শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ। তবে তোফায়েল আহমেদ তার অতীত তুলে ধরে বলেছেন, তিনি নিজেও মন্ত্রী হওয়ার পরই প্রশাসন চালানোসহ সব বিষয়ে শিখেছিলেন। চ্যালেঞ্জ : সুশাসন আওয়ামী লীগের আগের মেয়াদের সরকারে মানবাধিকার এবং সুশাসনের প্রশ্নে অনেক সমালোচনা ছিল। এ ছাড়া এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে প্রশাসনের ওপর সরকারের এক ধরনের নিভর্রশীলতা ছিল বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটে নতুন মন্ত্রীরা প্রশাসন পরিচালনায় রাজনৈতিকভাবে যদি দক্ষতা দেখাতে না পারেন, তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা নতুন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে মনে করেন সুলতানা কামাল। ‘চ্যালেঞ্জের কথাগুলো কিন্তু তাদের নিজেদের মুখ থেকে বার বার বেরিয়ে এসেছে। তারা বার বারই বরছেন, সুশাসন। তারা উন্নয়নের বিষয়টা নিয়ে আসেন। কিন্তু উন্নয়নের সাথে যেন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের যে ব্যাপারটা রয়েছে, স্বাভাবিক মৃত্যুর অধিকারের কথা রয়েছে, মানুষের যে সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে, নাগরিক হিসেবে একটা মযার্দাবোধ পাওয়ার যে ব্যাপারটা রয়েছে, এগুলোকে তারা উন্নয়নের সাথে বিনিময়যোগ্য করে ফেলেছেন। এটা কিন্তু বিনিময়যোগ্য নয়।’ তবে সরকারের অনেকেই বলছেন, সংসদে সরকারের জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আসে। ফলে এটিকে তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন না। কিন্তু আগের সংসদ ছিল একতরফা। নতুন সংসদেও একটি বড় দল বিএনপির নিবাির্চত কয়েকজন শপথ না নেয়ার অবস্থানে এখনও রয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকছে সরকারের সামনে। যদিও আওয়ামী লীগের মহাজোটের শরিক জাতীয় পাটির্ এবার নিভের্জাল বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের দাবি করেছে। এইচটি ইমাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের আগের মেয়াদের সরকারগুলোতে সংসদের মাধ্যমে জবাবদিহিতা ছিল এবং এবারও তা নিশ্চিত করা হবে। ‘সংসদে সমষ্টিগতভাবে এবং ব্যক্তিগতভাবে জবাবদিহিতা আছে। আর আগে সংসদীয় কমিটিগুলোতে মন্ত্রীরাই প্রধান থাকতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ১৯৯৬ সালে এতে পরিবতর্ন এনেছেন। এখন মন্ত্রী না হয়ে অন্য সদস্যরা সংসদীয় কমিটির প্রধান হয়ে থাকেন। এটি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুনদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, সেখানে নতুন মন্ত্রীরা তাদের হানিমুনের সময় শেষে যখন কাজ শুরু করবেন, তখন তারা কতটা দক্ষতা দেখাতে পারবেন, সেজন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে।’ বিবিসি বাংলা