বঙ্গবন্ধু সাফারি পাকের্ বাঘ শাবকের জন্ম

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পাকের্ বাঘিনীর সঙ্গে আড়াই মাস বয়সী শাবক Ñযাযাদি
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পাকের্ আরেকটি বাঘ শাবকের জন্ম হয়েছে। আড়াই মাস আগে শাবকটির জন্ম হলেও পাকর্ কতৃর্পক্ষ এতদিন তা প্রকাশ করেনি। এর আগে এই পাকের্ ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বাঘ শাবকের জন্ম হয়। এটি হলো তৃতীয় বার। পাকের্র বণ্যপ্রাণী পরিদশর্ক আনিছুর রহমান বলেন, গত ১ নভেম্বর এই শাবকের জন্ম হয়। শাবক ও তার মায়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই খবরটি গোপন রাখা হয়েছিল। এখন উভয়েই সুস্থ রয়েছে। শাবক নিয়মিতই মায়ের দুধ পান করছে। মা-সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তার মাকে অতিরিক্ত খাবারও দেয়া হচ্ছে। পাকের্র ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ রফিকুল ইসলাম বলেন, এই পাকের্ তৃতীয়বারের মতো বাচ্চা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই বাঘিনী প্রথমবারের মতো শাবকের জন্ম দেয়। নিরাপত্তার জন্য মা ও শাবককে আলাদা করে বিশেষ পযের্বক্ষণে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক বছর পর তাকে অন্যান্য বাঘের সাথে দশর্নাথীের্দর জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ‘নতুন শাবকটি জন্মের পরই তার পেছনের পা দুটি অনেকটা প্যারালাইজ ছিল। ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারত না। শাবকটি অসুস্থ থাকায় গণমাধ্যমকে তার জন্মের খবরটি জানানো হয়নি।’ বতর্মানে চিকিৎসা ও সেবার পর শাবকটি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অন্য চারটি মাদি ও দুটি পুরুষ বাঘ এ পাকের্ আনা হয়। তার মধ্যে একটি বাঘিনী ২০১৭ সালে তিনটি এবং ২০১৮ সালের ৮ আগস্টে আরও তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। নতুন এ সদস্য নিয়ে এ যাবৎ ওই পাকের্ বাঘ পরিবারে সাতটি শাবক জন্ম নিয়েছে। বতর্মানে পাকের্ মোট ১৩টি বাঘের মধ্যে চারটি পুরুষ এবং নয়টি মাদি। গত ৮ আগস্ট ‘রানী’ নামের বাঘিনী যে তিনটি শাবকের জন্ম দেয় তার মধ্যে একটি ছিল সাদা। এখানকার পরিবেশ ও প্রাণীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পালন করায় প্রতিনিয়ত বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বাঘ ও সিংহের বেলায় আশার সঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন পাকর্ ও দশর্নীয় স্থানে প্রাণী সরবরাহ করা যাবে বলে কতৃর্পক্ষ মনে করছে।