প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর হুবহু জাল করতেন তিনি

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা করার অভিযোগে মূলহোতা হেলাল উদ্দিনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ Ñযাযাদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর হুবহু জাল করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোমবার তিনজনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চক্রের মূলহোতা হেলাল উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর হুবহু জাল করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কাযার্লয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিরিয়াস অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কোয়াড) সৈয়দা জান্নাত আরা। তিনি বলেন, হেলাল উদ্দিন জাল স্বাক্ষর চক্রের মূলহোতা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর জাল স্বাক্ষর তৈরি করতেন। প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের লোগো ও চিঠি এক কম্পিউটারের দোকান থেকে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে প্রিন্ট করিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূতির্ নষ্ট করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জালিয়াতি করতেন। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গত বছরের ২৯ নভেম্বর এবং বাকি তিনজনকে গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার তিনজন হচ্ছেনÑ মো. হেলাল উদ্দিন (৫৫), মো. এনামুল হক (৪৮), নাজমুল হাবিব (৫৪)। তবে তদন্তের স্বাথের্ সোমবার রাতে গ্রেপ্তার আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। সিআইডি কমর্কতার্ সৈয়দা জান্নাত আরা আরও বলেন, আসামিরা প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের লোগোযুক্ত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাল স্বাক্ষরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান, এনএসআই প্রধানের জাল স্বাক্ষর করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাল স্বাক্ষরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান, এনএসআই প্রধানের স্বাক্ষর জালের প্যাডের পাতা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া ৫৪ হাজার কোটি টাকার যাচাইকৃত কপি, প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে হেলালের বিভিন্ন মানহানিকর কথাবাতার্র ভিডিও ক্লিপ ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পঁাচটি মোবাইল জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, জালিয়াতি চক্রটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া ৫৪ হাজার কোটি টাকার যাচাই কপি তৈরি করে জনমনে বিশ্বাস স্থাপন করত। এভাবে তারা ৪২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। ‘তারা (প্রতারক চক্র) বলত যে, ওই ৫৪ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে কথিত ফরিদুজ্জামান সেলিমের অ্যাকাউন্টে আছে। তিনি ফ্রান্সের এলসিএল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকাটি পাঠায়। যার পুরোটাই ভুয়া।’ সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, চক্রটি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের কথা টাগের্ট মানুষকে জানাত এবং প্রয়োজন মাফিক তারা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরসহ কাযার্লয়ের প্যাডে ওই প্রকল্পের কাজের আদেশনামা দেখাত। ফরিদুজ্জামান সেলিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।