ভেজালবিরোধী অভিযানে ১৫ জনের জেল

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) চলমান খাদ্যে ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি হোটেল সিলগালা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পঁাচ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার করপোরেশনের পঁাচটি অঞ্চলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিএসসিসির জনসংযোগ কমর্কতার্ উত্তম কুমার রায় জানান, অভিযানে অঞ্চল ১-এর আওতাধীন গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হোটেল সোহেলের মালিক মো. সোহেলকে তিনদিন, এরোমা স্নাকসের ম্যানেজার খালেদ মনসুরকে পঁাচদিন, ডেকো রেস্টুরেন্টের আবদুল লতিফকে তিনদিন, মায়ের দোয়া হোটেলের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামকে তিনদিন এবং রমনা হোটেল ক্যান্টিনের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামকে সাতদিনের জেল দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী হোটেলকে ২০ হাজার, পূণির্মা স্নাকসকে ৫০ হাজার টাকা, খাবার-দাবার পিঠাঘরকে ১৫ হাজার টাকা এবং হাজি বিরিয়ানিকে ২৫ হাজারসহ মোট এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অঞ্চল ২-এর আওতায় ফকিরাপুল এলাকার ইমাম হোটেলের ম্যানেজার আবদুল জলিলকে তিনদিন জেল দেয়া হয়েছে। অভিযান চলার সময় হোটেল বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়ার দায়ে মিতালি রেস্টুরেন্টকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এশিয়া গাডের্ন রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অঞ্চল ৩-এর আওতাধীন এলাকার পেনাং রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা এবং পেনাং থাই অ্যান্ড চাইনিজ রেস্তোরঁাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল ৪-এর নবাবপুর এলাকার আদি মরণচঁাদ মিষ্টান্ন ভাÐারের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান এবং মো. মোকাম্মেল হক প্রিন্সকে ১৫ দিন করে জেল দেয়া হয়েছে। এর আগেও এই দোকানিকে একই অপরাধে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে ভবিষ্যতের জন্য সতকর্ করা হয়েছিল। এ ছাড়া গোলাপ শাহ বেকারিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল ৫-এর যাত্রাবাড়ী এলাকার নান্না রেস্তোরঁার ম্যানেজার কবীর হোসেনকে পঁাচদিনের জেল দেয়া হয়। এ ছাড়া ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় ফল বিক্রেতা মো. ইলিয়াস, মো. চান মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকে পঁাচ হাজার টাকা, কসমেটিক্স সামগ্রী বিক্রেতা মো. শফিকে চার হাজার টাকা এবং নিউ সুপার নান্না রেস্টুরেন্ট ও আল ইসলাম বিরানি হাউসকে পঁাচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।