কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলার আপিল শুনানি শুরু

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোটের্র বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল বিচারিক আদালতের দেয়া মামলার রায়ের অংশ উপস্থাপন করেন। এর আগে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় হুজির দশ জঙ্গিকে গুলি করে মৃত্যুদÐ কাযর্করের আদেশ দেন। রায়ের পযের্বক্ষণে বলা হয়, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় লুৎফর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। জনসভার আগে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল দুটি বোমা (৭৬/৮০ কেজি) উদ্ধার করে। বোমা দুটির বিষয়ে যে রিপোটর্ দিয়েছে তাতে দেখা যায় উক্ত বোমা এতই শক্তিশালী ছিল যে এর ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটলে এক কিলোমিটার ব্যাসাধর্ এলাকা পযর্ন্ত ক্ষয়ক্ষতি হত। পযের্বক্ষণে আরও বলা হয়, প্রথম বোমা থেকে দ্বিতীয় বোমাটি বেশি বিপজ্জনক ছিল এবং উভয় বোমার ড্রপ জোন থেকে চারপাশের এক কিলোমিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে যেত। রায়ে বলা হয়, হুজির প্রধান মুফতি আব্দুল হান্নানসহ অন্য আসামিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের সাবান কারখানায় বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি আসে। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও ঘটনার পারিপাশ্বির্কতা বিবেচনায় নিয়ে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে এ মামলার দÐিতরা জনসভাস্থলের কাছে এবং হেলিপ্যাড সংলগ্ন স্থানে বোমা পুঁতে অন্তঘাের্ত পরস্পরকে সহায়তা করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ কারণে তাদেরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১) (এ) (বি) (সি) / ২৫ (ডি) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদÐ দেয়া হয়।