পড়ন্ত বেলায় মুহিতের পাশে নেই সুসময়ের বন্ধুরা

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শুক্রবার নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তজাির্তক বিমানবন্দরে পেঁৗছান সাবেক অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত Ñযাযাদি
বেশিদিন আগের কথা নয়। অথর্মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ঘিরেই টানা ১০ বছর আবতির্ত হয়েছেন সিলেটের রাজনীতি। প্রশাসন থেকে নেতাকমীর্ কিংবা কমীর্-সমথর্ক; সবারই মধ্যমণি ছিলেন তিনি। তার সিলেট আগমনের জন্য তীথের্র কাকের মতো অপেক্ষমাণ থাকতেন দলের নেতাকমীর্ ও সমথর্করা। সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে (৩০ ডিসেম্বর) শেষবার ভোট দিতে সিলেটে যখন আসেন, তখনও তাকে বরণে ছিল নেতাকমীর্ ও সমথর্কদের উপচেপড়া ভিড়। তাছাড়া তার দায়িত্বের সময়জুড়ে নানা কথা বলেও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। আর সিলেটে অথর্মন্ত্রী আসা মানেই সাংবাদিকদের ব্যতিব্যস্ততা! তবে এবার আর সেই ব্যস্ততা দেখা গেল না। শুক্রবার বেলা পৌনে ২টায় নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তজাির্তক বিমানবন্দরে পেঁৗছান সাবেক অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এদিনের চিত্র ছিল আগের দিনগুলোর তুলনায় সম্পূণর্ ভিন্ন। স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ায় এখন মন্ত্রিত্বও নেই তার। তাই পাশে নেই কমীর্-সমথর্কও। এমনকি পরিবারের ঘনিষ্টজনদের কাউকেও সাবেক এই দাপুটে মন্ত্রীর পাশে দেখা যায়নি! রাজনীতি থেকে সরে দঁাড়ালেও মানসিকতায় প্রভাব পড়েনি মুহিতের। সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকলেও বাধর্ক্য যেন টেনে ধরে। তাই প্লেন থেকে নেমেই চেপে বসেন হুইল চেয়ারে। এ সময় এভিয়েশনের কমীর্ হুইল চেয়ার ঠেলে প্রবেশ করে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে। তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী জনি উপস্থিত ছিলেন। তবে ভিআইপি লাউঞ্জেও তাকে বরণে দেখা যায়নি পরিচিত কোনো মুখ। উষ্ণ সংবধর্না জানাতে বিমানবন্দরেও নেই নেতাকমীের্দর কোনো কোলাহল। নেতাকমীর্, স্বজন, পরিচিতজন ছাড়া এ যেনো অন্য এক মুহিতের আগমন ঘটলো সিলেটে! দেখে কেউ কেউ তো বলেই ফেললেন, ‘তিনি আজ একা, বড়ই একা।’ অভিযোগ রয়েছে, অথর্মন্ত্রী থাকাকালে এএমএ মুহিতকে ব্যবহার করে যারা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন, সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বিভিন্নভাবে, পড়ন্ত বেলায় কেউ-ই পাশে নেই তার। তারা এখন নতুনের পূঁজারী! অথচ বিগত দিনে অথর্মন্ত্রীর আশপাশে যে কয়জন বিশেষ লোককে দেখা যেতÑ তাদের মধ্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোডের্র (বিসিবি) পরিচালক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহŸায়ক আলম খান মুক্তি, তার সাবেক সহকারী জাবেদ সিরাজ, রেড ক্রিসেন্ট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম নুনু মিয়াসহ আরো অনেকে। শুক্রবার তাদের কাউকে দেখা যায়নি বিমানবন্দরে। তবে তাদের থেকে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল একজনই। তিনি হলেন বাফুফের কাযির্নবার্হী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। একমাত্র তিনিই বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ফটক থেকে সাবেক অথর্মন্ত্রী মুহিতকে বরণ করে নিয়ে যান সিলেট আন্তজাির্তক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানে বসেই সিলেট সিক্সাসর্ ও ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচ উপভোগ করেন ক্রীড়ামোদী মুহিত।