শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি, আট জন গ্রেপ্তার

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন মো. শাহিন ওরফে বলস্না শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধুরী (২৮), মো. আব্দুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) এবং মো. রাহাদ (২৮)।

শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুর দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আজ (শনিবার) আদালতে তোলে পুলিশ। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করে মিরপুর

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান অভিযুক্তরা কখনো ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা আবার কখনো পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করতেন। তারা পেশাদার অপরাধী। প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার বলস্না শাহীন ২০১৯ সালে

মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার রাতে বলস্না শাহীন তার দলবল নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়েই প্রথমে নিজেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এ পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও তারা গালিগালাজ করেন। এ সময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে জানালে বলস্না শাহীন ও তার পুরো দলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেন বলস্না শাহীন ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও শাহিনের নামে মাদক, চাঁদাবাজি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪টি মামলা রয়েছে। সুলতান মাহিদ পিয়াসের বিরুদ্ধে রয়েছে ৩টি। এছাড়া ইউসুফ চৌধুরী, আব্দুল আলিম, মামুন কাজী, দেলোয়ার হোসেন ও রাহাতের নামেও দুটি করে মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শনিবার আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে