খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধমীর্য় উস্কানির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম মামলার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ১৮ ফেব্রæয়ারি গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধাযর্ করেন। এদিন সকালে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেয়। গত বছরের ২৩ জুলাই এই পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী। ওইদিন শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর, ২৩ সেপ্টেম্বর, ১ নভেম্বর, ২৬ ডিসেম্বর এবং পরবতীের্ত তা পিছিয়ে ২০ জানুয়ারি ধাযর্ করা হয়। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কমর্কতার্ শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় মমের্ উল্লেখ করেন। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়াসর্ ইন্সটিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধমার্বলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সম্পকের্ কটূক্তিপূণর্ সমালোচনা করেন। বক্তৃতার একপযাের্য় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধমির্নরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধমর্হীনতায় বিশ্বাসী।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধমির্নরপেক্ষতার কথা বলে ধমীর্য় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধমির্নরপেক্ষতার মুখোশ পরা এই জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধমের্র মানুষই নিরাপদ নয়।’ ওই বক্তব্য দেয়ার জন্য ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দÐবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে একটি নালিশি মামলা করা হয়। ওইদিনই আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য শাহবাগ থানার ওসিকে নিদের্শ দেয়। প্রসঙ্গত, দুনীির্তর দুই মামলায় দÐপ্রাপ্ত হয়ে বতর্মানে খালেদা জিয়া পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।