‘এ’ গ্রেডের রেস্টুরেন্টে বাসি খাবার, লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
‘এ’ গ্রেডের স্বীকৃতি পাওয়ার পরদিন ‘ভালো’ তিনটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেল বাসি খাবার আর নোংরা পরিবেশ
ভোক্তা ও ভোজনরসিকদের স্বাথর্ রক্ষায় রোববার ঢাকার ৫৭টি রেস্টুরেন্টকে মান বিবেচনায় ‘এ-প্লাস’ (উত্তম) ও ‘এ’ (ভালো) গ্রেডের স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃর্পক্ষ। তবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরদিন ‘ভালো’ তিনটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেল বাসি খাবার আর নোংরা পরিবেশ! রেস্টুরেন্টগুলো হচ্ছে সেগুন বাগিচা এলাকার ভোজ বাংলার স্বাদ, বাগিচা রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পাটির্ সেন্টার, ইনজয় রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ফাস্টফুড। সোমবার এই তিন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রেস্টুরেন্টের ‘দুদর্শা’ দেখে তাদের ১ লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানটি পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মÐল ও জান্নাতুল ফেরদাউস। আব্দুল জব্বার মÐল বলেন, সেগুনবাগিচা এলাকায় তিনটি নামিদামি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। রেস্টুরেন্টগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরির (ভালো মানের স্বীকৃতি) স্টিকারপ্রাপ্ত। বাগিচা রেস্টুরেন্টে অভিযানে গিয়ে নোংরা অপরিছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরির চিত্র দেখা যায়। এ ছাড়া তাদের ফ্রিজে কয়েক দিনের বাসি খাবার রাখা ছিল। তারা সেসব খাবার ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এ ছাড়া তারা ১৬ টাকার সফট ড্রিংকস ২৫ টাকায় বিক্রি করছে। আইন অনুযায়ী এটি একটি দÐনীয় অপরাধ। তিনি আরও বলেন, একইভাবে ভোজ বাংলার স্বাদ (রেস্টুরেন্ট)-এ গিয়ে নোংরা অপরিছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি ও পুরনো বোতলে বোরহানি বিক্রির চিত্র দেখা যায়। ইনজয় রেস্টুরেন্টে মেয়াদোত্তীণর্ দই বিক্রির প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া তাদের কোনো পণ্যের মূল্য তালিকা ছিল না। এসব অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠান প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জারিমানা করা হয়। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানই তাদের ভুল স্বীকার করে। একই সঙ্গে আগামী দুই এক দিনের মধ্যে সংশোধনের প্রতিশ্রæতি দেয় বলে জানান জব্বার মÐল। এ ছাড়া অভিযানে প্রেসলি বেকারিকে ৩৫ হাজার টাকা এবং তওফিস ফ্যামিলি কনার্রকে ১০ হাজার টাকা জারিমানা করা হয়। ভোক্তার সহকারী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃর্পক্ষ তাদের মান দেখে স্টিকার দিয়েছে। এখন তারা নিয়ম না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের আমরা তদারকি করব। এরই অংশ হিসেবে আজকে তিনটিকে জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এর আগে রোববার রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও সচিবালয়সহ কয়েকটি এলাকায় পাইলট প্রকল্প ১৮টি এ-প্লাস এবং ৩৯টি এ গ্রেডের স্টিকার দেয়া হয়। গ্রেডিং সিস্টেমের আওতায় খাবারের মান, বিশুদ্ধতা, পরিবেশ, ডেকোরেশন, মনিটরে রান্না ঘরের পরিবেশ দেখা যাওয়ার ব্যবস্থা ও ওয়েটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিতে রেস্তোরঁাগুলোকে চার ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হবে। এসব বিচারে ৯০ নম্বরের বেশি স্কোর হলে সবুজ বণের্র স্টিকার ‘এ+’, স্কোর ৮০’র ঊধ্বের্ হলে নীল বণের্র স্টিকার বা ‘এ’, ৫৫ থেকে ৭৯ পযর্ন্ত স্কোর হলে হলুদ বণের্র ‘বি’ এবং ৪৫ থেকে ৫৫ স্কোর হলে কমলা বণের্র ‘সি’ ক্যাটাগরির স্টিকার দেয়া হবে।