মোবাইল ফোনটি আসল কিনা জানা যাবে এসএমএসে

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
অবৈধ ও চোরাইপথে মোবাইল ফোন আমদানির কারণে বৈধ আমদানিকারক ও দেশীয় মোবাইলশিল্প রক্ষায় নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় মোবাইল ফোনের ডাটাবেইজ (তথ্য ভাÐার) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। বিটিআরসির কমর্কতার্রা জানিয়েছেন, একটি শটের্কাডে এসএমএস করেই গ্রাহক জানতে পারবেন তিনি যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন, সেটি আসল না নকল। সাধারণত মোবাইল ফোন আমদানির জন্য বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। বিটিআরসিতে একটি নমুনাও দিতে হয় আমদানিকারকদের। কিন্তু রাজস্ব ফঁাকি দিয়ে নামে-বেনামে বিভিন্ন অসাধু মহল হ্যান্ডসেট নিয়ে আসে অবৈধ পথে। এই পথ বন্ধ করতে মোবাইল ফোন আমদানিকারক ও এই শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছিল। এ জন্য একটি তথ্য-ভাÐার তৈরি করার দাবি জানিয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, বিটিআরসির তথ্য-ভাÐারের বাইরে থাকা হ্যান্ডসেটগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং সেগুলো সহজেই বন্ধ করা যাবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বিটিআরসিতে আইএমইএ ডাটাবেইজ উদ্বোধন করবেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি একটি শটের্কাডও চালুর ঘোষণা দেবেন। বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট একজন কমর্কতার্ বলেন, ‘১৬০০২’ শটের্কাডে এসএমএস করে পছন্দের হ্যান্ডসেটের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর দিলে জানা যাবে, সেটি আসল বা বৈধ কিনা। মোবাইল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোটার্সর্ অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) গত নভেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিগত ৯ মাসে দেশে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ মোবাইল ফোন আমদানি হয়েছে। অথচ আগের বছরের একই সময় দেশে আমদানি হয়েছিল দুই কোটি ৮০ লাখ মোবাইল ফোন। এর মধ্যে স্মাটের্ফান আমদানি হয়েছিল ৬০ লাখ। ২০১৭ সালের ৯ মাসে স্মাটের্ফান আমদানি হয়েছে ৫০ লাখ (১৭ শতাংশ কম)। ১০ হাজার টাকা বা এর চেয়ে কম মূল্যের স্মাটের্ফানের (নিম্নমানের স্মাটের্ফান) বিক্রি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্মাটের্ফানের বিক্রি প্রায় ২১ শতাংশ বেড়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মোবাইল ফোনের বাজার। এর আনুমানিক ৩০ শতাংশ অবৈধ হ্যান্ডসেটের দখলে। অবৈধ পণ্যের অনেকাংশই পুরনো ফোন ‘রিফারবিশ’ এর মাধ্যমে দেশে আসছে। বিএমপিআইএ সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহীদ বলেন, অবৈধ পথে মোবাইল ফোন আমদানি কমানোর জন্য আমরা দীঘের্ময়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছি। ‘হ্যান্ডসেটের তথ্য-ভাÐার চালুর ফলে গ্রাহকরা জেনে নিতে পারবেন তার সেটটি বৈধ না অবৈধ। এতে অবৈধ সেট বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অবৈধ বাজার ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসবে এবং বৈধ আমদানিকারক ও উদ্যোক্তারা লাভোবান হবেন।’