রোহিঙ্গা নিযার্তনের কাহিনী শুনলেন জডার্ন রাজকন্যা

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুম্বরু সীমান্তের কোনারপাড়া নো মেনস ল্যান্ডের শরণাথীর্ শিবির পরিদশর্ন করেছেন জডাের্নর রাজকন্যা প্রিন্সেস সাফা ফিরাজ। তিনি সোমবার সকালে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছে সাড়ে ১১টার দিকে কোনারপাড়া ক্যাম্প পরিদশের্ন যান। এ সময় ফিরাজ রোহিঙ্গাদের মুখে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিযার্তনের কাহিনী শুনেন এবং রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে কোনো ধরনের বক্তব্য দেননি। ঘুমধুম তুম্বরু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, তিনি পৌনে ১২টার দিকে কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবির পরিদশের্ন আসেন। এ সময় আমাদের কাছে বতর্মানে জরুরি কী সমস্যা আছে তা জানতে চান। আমরা তাকে বলেছি, রোহিঙ্গা শিবিরে আমরা ভালো নেই। আমরা আমাদের সব অধিকার নিয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। কারণ মিয়ানমারে এখন আমাদের নিরাপত্তা নেই। ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও মগেরা আমাদের ওপর যে জুলুম-নিযার্তন চালিয়েছে, আমাদের মা-বোন ভাইকে হত্যা করেছে সব অপরাধের বিচার আমরা চাই’। আমরা আরও বলেছি, এখানে আমাদের সন্তানেরা পড়ালেখা করতে পারছে না। নানাবিধ সমস্যার মধ্যে আছি। আমরা যত দ্রæত সম্ভব এখান থেকে চলে যেতে চাই। তবে মিয়ানমারে আমাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হতে হবে। এছাড়া সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের নো মেনস ল্যান্ড থেকে তাড়ানোর জন্য তুম্বরু খালের ওপর পাকা পিলার বসিয়ে কঁাটাতারের বেড়া সংস্কারের বিষয়টিও জডাের্নর রাজকন্যার কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান দিল মোহাম্মদ। দিল মোহাম্মদ আরও বলেন, আমাদের সব কথা শুনে তিনি খুব আবেগাপ্লুত হন এবং আমাদের কথার জবাবে তিনি বলেছেন, আমাদের দুঃখ-দুদর্শার সব কথা শুনে তার খুব কষ্ট লাগছে এবং তিনি আমাদের এসব সমস্যা জাতিসংঘের কাছে জানাবেন। এ সময় তিনি ছাড়াও রোহিঙ্গা নেতা অরিফ উল্লাহ, নুরুল আমিন ও হোসনে আরা নামের এক রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলেন জডার্ন রাজকন্যা। এরপরে জডাের্নর রাজকন্যা প্রিন্সেস সাফা ফিরাজ উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-১ এ বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডবিøওএফপি) পরিচালিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রিকের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং কমর্কতাের্দর সঙ্গে কথা বলেন। এরপরে তিনি বালুখালী জাতিসংঘ শরণাথীির্বষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদশর্ন করেন। এ সময় তিনি সেখানে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার কাযর্ক্রম এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ করে দুই দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে জডাের্নর রাজকন্যার।