প্রথম ধাপে তিন বিভাগের ৬৯ উপজেলায় ভোট

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে মোট পঁাচ ধাপে সারা দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধেের্কর মতো জেলার সব উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এই ধাপে ভোটগ্রহণের জন্য নিধাির্রত উপজেলার সংখ্যা ৬৯টি। এ ছাড়া সারা দেশের যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ ২১ মাচের্র মধ্যে শেষ হবে, সেগুলোতেও একই দিন ভোটগ্রহণ করা হবে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নিবার্চন কমিশনের (ইসি) সভার কাযির্ববরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইতোমধ্যে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রথম ধাপে ৮ অথবা ৯ মাচর্ ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ইসি সচিবালয়ের একাধিক শীষর্ কমর্কতার্ জানান, ৮ মাচর্ শুক্রবার। একই দিন বিশ্ব নারী দিবস। যে কারণে ৯ মাচর্ ভোটগ্রহণের তারিখ নিধার্রণ হতে পারে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মাচর্ ১২৫টি উপজেলায়, তৃতীয় ধাপে ২৪ মাচর্ ১১১টি এবং ৩১ মাচর্ চতুথর্ ধাপে ১৫৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। রমজানের পরে পঞ্চম ধাপে জুনের দিকে ১৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইসির কাযির্ববরণী থেকে আরও জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের অধেের্কর বেশি জেলার সব উপজেলাতে ভোট হবে। সারা দেশের যেসব উপজেলার মেয়াদ ২৬ মাচর্ শেষ হবে সেগুলোর নিবার্চনও এই ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অবশিষ্ট জেলার সব উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। সারা দেশের যেসব উপজেলার মেয়াদ ৩০ মাচর্ শেষ হবে সেগুলোর নিবার্চনও এই দিন অনুষ্ঠিত হবে। চতুথর্ ধাপে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের সম্পূণর্ জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বাকি জেলার সব উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। সারা দেশের যেসব পরিষদের মেয়াদ ১৯ জুনের মধ্যে শেষ হবে সেগুলোর নিবার্চনও চতুথর্ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। যেসব পরিষদের প্রথম সভা ২০১৪ সালের ২০ জুনের পরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেগুলোতে রমজান মাস শেষে ঈদের পরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নিবার্চনের জন্য আগামী ৩ ফেব্রæয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। নিবার্চনে রিটানির্ং কমর্কতার্র দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নিবার্চন কমর্কতার্ এবং সহকারী রিটানির্ং কমর্কতার্র দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নিবার্চন কমর্কতার্রা। ইসি সচিবালয় থেকে আরও জানা যায়, এ বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে প্রাথীর্ হওয়া বা হওয়ার চেষ্টা এবং অন্যান্য কারণে ৩২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন। এসব উপজেলার নিবার্চনও প্রথম ধাপে ৮ অথবা ৯ মাচর্ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চন বজর্ন করেছিল। তবে একই বছর অনুষ্ঠিত চতুথর্ উপজেলা নিবার্চনে দলটি অংশ নিয়ে ১১৬টি উপজেলায় জয় পেয়েছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জিতেছিল ২৬২টি উপজেলায়। সেবার প্রথম দুই ধাপের নিবার্চন গ্রহণযোগ্য ছিল এবং বিএনপি সরকারি দলের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় জয় পেয়েছিল। তবে তৃতীয় ধাপ থেকে ষষ্ঠ (শেষ ধাপ) ধাপ পযর্ন্ত নিবার্চনে ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র আটটি আসনে জয় পেয়েছে। নিবার্চন গ্রহণযোগ্য হয়নি দাবি করে দলটি এ নিবার্চনের ফল বজর্ন করেছে এবং সংসদে শপথ নেয়া থেকে বিরত আছে। সংসদ নিবার্চনের এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপি ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নিবার্চনে অংশ নেবে না।