রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

এক মাসে ৪৩৯ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্য ৪৮৭

নৌ-দুর্ঘটনায় ১৬ ও রেলপথে নিহত হয়েছেন ১৪ জন

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গত ফেব্রম্নয়ারি মাসে দেশে ৪৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন নিহত এবং ৭১২ জন আহত হয়েছেন। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। একই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৬ জন এবং ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এদিকে, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ১১৩টি দুর্ঘটনায় ১২১ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে। ২২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৩৩টি দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম মেহেরপুর জেলায়। তিনটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেব্রম্নয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৫৪ জন ও শিশুর সংখ্যা ৬৮ জন। এর মধ্যে ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৯৬ জন, যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া দুর্ঘটনায় ১০৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এদিকে, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৯৬ জন (৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ), বাসযাত্রী ২১ জন (৪ দশমিক ৩১ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রলি আরোহী ২২ জন (৪ দশমিক ৫১ শতাংশ), মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ১৬ জন (৩ দশমিক ২৮ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-ম্যাক্সি-টেম্পো) ১০১ জন (২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম-পাওয়ারটিলার-ইট ভাঙার মেশিন গাড়ি) ১৮ জন (৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী পাঁচজন (১ দশমিক ০২ শতাংশ) নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৮টি (৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৭৭টি (৪০ দশমিক ৩১ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি (১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ২৯টি (৬ দশমিক ৬০ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ, সকালে ২৭ দশমিক ১০, দুপুরে ২৪ দশমিক ১৪, বিকালে ২০ দশমিক ০৪, সন্ধ্যায় ৬ দশমিক ৩৭ এবং রাতে ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাণহানি ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, প্রাণহানি ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্রাণহানি ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ঘটেছে।