সাকিব-হৃদয়ের দাপুটে ব্যাটিংয়ে রেকর্ড জয়

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সিলেট স্টেডিয়ামে শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয় -বিসিবি
সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে আয়ারল্যান্ড হেরেছে ১৮৩ রানে। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। টি২০তে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের পর দারুণভাবেই আয়ারল্যান্ড সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড়জয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে তামিম ইকবালের দল। আগামী সোমবার সিলেটে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও মাত্র ১৫৫ রানে থামে আইরিশদের ইনিংস। তাতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল। এর আগে টাইগারদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সিলেটের এই ভেনু্যতেই ২০২০ সালের ১ মার্চ জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা। এ দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে পাহাড়সম ৩৩৯ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩০.৫ ওভারে সবক'টি উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলে ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। ম্যাচসেরা হয়েছেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের হয়ে ১৪০তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের। এই ক্রিকেটারকে অভিষেক ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এ সংস্করণে সর্বশেষ অভিষেক হয়েছিল পেসার এবাদত হোসেনের। গত বছরের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচটি রাঙিয়েছেন ব্যাট হাতে, ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই অলরাউন্ডারর্ যাংকিংয়ে শীর্ষে ওঠা সাকিব আল হাসান এবার দেশের হয়ে পৌঁছালেন অনন্য একটি রেকর্ডে। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি প্রবেশ করেছেন ৭০০০ রানের ঘরে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ফিফটি হাঁকিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অর্ধশতক পূর্ণ করতে তার খেলতে হয়েছে ৬৫ বল। কার্টিস ক্যাম্ফারের ওভারে দৌড়ে এক রান নিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। এই ক্লাবে ঢুকতে সাকিবের খেলতে হয়েছে ২২৮ ম্যাচ ও ২১৬ ইনিংস। প্রথম ওয়ানডের স্কোর বোর্ডে তাকালে বাংলাদেশ তথা সাকিব-হৃদয় ভক্তদের কাছে সুখ জাগানিয়াই। পাশাপাশি দু'টি সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে টাইগারদের। এর মধ্যে হৃদয়ের সামনে ছিল অভিষেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শত রান করার হাতছানি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং তান্ডবে রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। ৯৩ রানে সাকিব ও ৯২ রানে আউট হন হৃদয়। ৮ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা করেছে ৩৩৮ রান। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৩৩৩ রানের। ২০১৯ সালের জুন মাসে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে এই রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। একই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৩০ রান করেছিল টাইগাররা। এবার নিজেদের সেই অতীত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন তামিম ইকবালের দল। জয়ের জন্য ৩৩৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানে ইনিংস গুটিয়ে গেছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড দলের। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডায়ারকে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশ দলপতি ক্যাচ দেন পল স্টার্লিংকে। ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন তামিম। তামিমকে হারানোর পর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল টাইগার শিবির। দলীয় স্কোর অর্ধশতক পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগে বিদায় নেন লিটন। ৩১ বলে তিনি করেন ২৬ রান। লিটনকে স্টার্লিংয়ের ক্যাচ বানান কার্টিস ক্যাম্ফার। এরপর আবার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব মিলে দৃঢ়তা আনেন। তাদের জুটি ভাঙে ৩২ রানের মাথায়। শান্ত আউট হন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। ৩৪ বল খেলা শান্তকে বোল্ডআউট করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। শান্ত যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের দলীয় রান ছিল ৮১। এরপর ক্রিজে আসেন হৃদয়। সাকিবের সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন ১৩৫ রানের জুটি। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হতাশ করেন সাকিব আল হাসান। গ্রাহাম হুমের বলে ৯৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। তাতে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার ১৩৫ রানের জুটিও ভাঙে। হুমকে খেলতে গিয়ে লর্কান টাকারকে ক্যাচ দেন সাকিব। ৯৩ করতে ৮৯ বলে তিনি খেলেন ৯টি চারের মার। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে পাঁচবার নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন সাকিব। এর আগে তিনবার টেস্টে ও একবার ওয়ানডেতে নব্বইয়ের ঘরে থাকতে বিদায় নেন তিনি। সাকিব আউট হলেও বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন অভিষিক্ত হৃদয়। তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলতে থাকা মুশফিক-হৃদয়ের জুটি ভাঙে দলীয় ২৯৬ রানে। এ সময় মুশি আউট হন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। মাত্র ৪৯ বলে দু'জনে মিলে গড়েছিলেন ৮০ রানের জুটি। একই ওভারে বিদায় নেন অভিষেকে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা হৃদয়। তিন অঙ্কের ঘর থেকে মাত্র ৮ রান দূরে ছিলেন তিনি। ৮৫ বলে ৯২ রান করতে তিনি খেলেন ৮টি চার ও ২টি ছয়ের মার। শেষ দিকে ইয়াসির আলি ১৭, তাসকিন ও নাসুম তোলেন ১১ রান করে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে হুম নেন ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট পান অ্যাডায়ার, ক্যাম্ফার ও ম্যাকব্রাইন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দুই আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ধোয়েনি ও পল স্টার্লিংকে দুই প্রান্ত থেকেই চেপে ধরেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। প্রথম ছয় ওভারে সফরকারীরা কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে তুলে ২৩ রান। আর তাতে আইরিশদের প্রয়োজনীয় রান রেইট বেড়ে দাঁড়ায় ৭ এর ওপরে। শুরুর সেই চাপ কমাতে এরপর আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেন দুই আরিশ ওপেনার। কাউন্টার অ্যাটাকে কিছুটা হলেও সাফল্য পেয়েছেন তারা। পাওয়ার পেস্নর শেষের ৪ ওভারে ২৮ রান তোলে আইরিশরা। তাতে শুরুর পাওয়ার পেস্ন শেষে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৫১ রান যোগ করেছে আয়ারল্যান্ড। এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি আইরিশদের উদ্বোধনী জুটি। বিপজ্জনক হয়ে উঠার আগেই ধোয়েনিকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। এই স্পিনারের করা ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেছেন তিনি। ধোয়েনি ফেরার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেলেন না পল স্টার্লিং। একটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রানে থেমেছেন এই ওপেনার। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি খানিকটা শর্ট লেন্থে রেখেছিলেন এবাদত হোসেন। সেটা আগে থেকেই বুঝতে পেরে পুল করতে যান স্টার্লিং কিন্তু বলে বাড়তি বাউন্স থাকায় ঠিকমতো টাইমিং করতে পাররেননি এই ওপেনার। তাতে বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে মুশফিকের গস্নাভসে জমা পড়ে। এ দিন উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিক। আগের ওভারে স্টার্লিংকে ফেরানোর পর নিজের পরের ওভাররেই হ্যারি ট্যাক্টরকেও ফেরান এবাদত। ঠিক যেন আগের ওভারের কার্বন কপি! পার্থক্য ছিল শুধু ব্যাটারে, স্টার্লিংয়ের জায়গায় ট্যাক্টর। এবারও ওভারের দ্বিতীয় বলটি শট লেন্থে ছিল তাতে ব্যাটার পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে ট্যাক্টরের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৩ রান। এবাদত পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেওয়ার পর দুই প্রান্ত থেকেই পেস আক্রমণে যান তামিম। আর বোলিংয়ে ফিরেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন তাসকিন। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে বার্লবির্নিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই পেসার। তার আগে ৫ রান এসেছে আইরিশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। তাসকিনের এই ওভারের কোনো বল থেকেই রান নিতে পারেনি আইরিশরা, ফলে উইকেট মেইডেন পান তিনি। নিজের পরের ওভারে আক্রমণে ফিরে আবারও উইকেটের দেখা পান তাসকিন। এবার তার শিকার টাকার। ওভারের প্রথম বলটি শট লেন্থে ফেলে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে রেখেছিলেন এই পেসার, সেখানে অন সাইডে টেনে খেলতে গিয়ে ইয়াসির রাব্বির হাতে ধরা পড়েন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ রান। ওভারের বাকি বলগুলোতেও কোনো রান দেননি তাসকিন, ফলে পরপর দু'টি উইকেট মেইডেন পেয়েছেন এই পেসার। ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৭৬ রান তুলতেই সাজঘরে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার। ১৬ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে আইরিশরা যখন ধুঁকছে তখন দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলার চেষ্টা করেন জর্জ ডকরেল ও কুর্টিস ক্যাম্পার। ষষ্ঠ উইকেটে এই দু'জনে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। তবে অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সামনে। তাদের জুটিতে একশ' পার হয় সফরকারীরা। কিন্তু দলীয় রান তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পর আর বেশি দূর এগোয়নি এই জুটি। ১৬ রান করা ক্যাম্পারকে ফিরিয়ে ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ২৪তম ওভারের চতুর্থ বলটি অফ এবং মিডল স্ট্যাম্পের ওপর রেখে ফুল লেন্থে করেছিলেন নাসুম। বলে সামান্য টার্ন থাকায় ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করেন ক্যাম্পার। তাতে বল সরাসরি পায়ে আঘাত হানলে নাসুমের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এই আইরিশ অলরাউন্ডার। ফলে রিভিও নেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন নাসুম। ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান করা গেরেথ ডেলানিকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলানোর পরের বলেই অ্যান্ড্রি ম্যাকব্রাইনকেও ফিরিয়েছেন এই স্পিনার। মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি ম্যাকব্রাইন। ইনিংসে এটা নাসুমের তৃতীয় শিকার। ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ডকরেল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। তার ৪৫ রান শুধুই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৩০ ওভার ৫ বল খেলে ১৫৫ রান তুলে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৮/৮ (তামিম ৩, লিটন ২৬, শান্ত ২৫, সাকিব ৯৩, হৃদয় ৯২, মুশফিক ৪৪, ইয়াসির ১৭, তাসকিন ১১, নাসুম ১১*, মুস্তাফিজ ১*; অ্যাডায়ার ১/৭৭, হিউম ৪/৬০, ম্যাকব্রাইন ১/৪৭, ক্যাম্পার ১/৫৬, ট্যাক্টর ০/৪৫, ডেলানি ০/৫০)। ইংল্যান্ড: ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ (স্টিফেন দোহেনি ৩৪, পল স্টার্লিং ২২, অ্যান্ড্রু ব্যালবির্নি ৫, হ্যারি ট্যাক্টর ৩, লরকান টাকার ৬, কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬, জর্জ ডকরেল ৪৫, গ্যারেথ ডিলানি ১, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিনি ০, মার্ক অ্যাডায়ার ১৩, গ্রাহাম হুম ২, মুস্তাফিজ ০/৩১, তাসকিন ২/১৫, নাসুম ৩/৪৩, সাকিব ১/২৩, এবাদত ৪/৪২)। ফল:বাংলাদেশ ১৮৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: তৌহিদ হৃদয়।