আটকে আছে জড়িতদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া

ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)র্ যাগিংয়ের নামে বহুল আলোচিত নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরি খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া এখনো থেমে আছে। আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করে তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়। কিন্তু সেই নোটিশের জবাব দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পেরুলেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইবি প্রশাসন। জানা যায়, অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করার পর ১৫ মার্চের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত তাবাসসুম ও মোয়াবিয়া জবাব দিলেও বাকি তিনজন জবাব না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রশাসকের গাফিলতির কারণে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ইশরাত জাহান মীম ও হালিমা আক্তার ঊর্মি এখনো জবাব দেননি। এতে আটকে আছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া। ইবির উপ-রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ অভিযুক্তদের বহিষ্কারের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সময় বাড়ানোর আবেদন সংক্রান্ত ফাইল রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। পরের দিন রেজিস্ট্রারের এন্ট্রি করা ফাইলটি আইন প্রশাসক দপ্তর পাঠানো হয়। এদিকে সম্প্রতি দপ্তরপ্রধানরা ফাইল সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ফাইলের বিষয়ে দপ্তরপ্রধানদের একে অন্যের ওপর দায় চাপানোর বিষয়টি উঠে আসে। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, 'ফাইলটি আইন প্রশাসক দপ্তরে সময়মতো পাঠানো হয়েছে। ফাইলটি ওখানে আটকে আছে। আইন প্রশাসক বাইরে আছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তিনি আসবেন। তিনি এলে ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' ফাইলের বিষয়ে আইন প্রশাসক অধ্যাপক ডক্টর আনিচুর রহমান বলেন, 'আমি ঢাকায় আছি। তবে ফাইলটি দেখেছি। আরও ভালোভাবে দেখে মতামত দেব।' প্রসঙ্গত, ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রম্নয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভরর্ যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, ইশরাত জাহান মীম, হালিমা আক্তার ঊর্মি ও মুয়াবিয়া জাহানসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে কমিটি অভিযুক্তদের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।