নববধূকে তুলে নেয়ার ঘটনায় জড়িত সবাই ছাত্রলীগ

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

দেবীদ্বার সংবাদদাতা
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকমীের্ক গ্রেপ্তার করে পুলিশ Ñযাযাদি
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় জড়িত সবাই ছাত্রলীগের নেতাকমীর্। এ ঘটনায় বুড়িচং উপজেলার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এদিকে, শুক্রবার বিয়েবাড়িতে হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের সাত নেতাকমীর্র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার কারণে জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাইলের নেতৃত্বে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের নেতাকমীর্রা। ঘটনায় জড়িত সবাই ছাত্রলীগের নেতাকমীর্। স্থানীয় সূত্র জানায়, দেবীদ্বার উপজেলার সূযর্পুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (১৯) সঙ্গে ১ ফেব্রæয়ারি একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানের (২৫) বিয়ে হয়। শুক্রবার বরের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাইলের নেতৃত্বে ২৫-৩০ নেতাকমীর্ অনুষ্ঠানে অতকির্তভাবে হামলা চালায়। তারা অনুষ্ঠানের লোকজনকে মারধর করে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থানীয় লোকজন তাদের ঘিরে ফেলে। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল ও ছাত্রলীগ নেতা সাকিব পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও স্থানীয় জনতা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে জাফর হোসেন (১৮), সজিব পাল (১৮), কাউছার আহম্মেদ (২০), আলী হোসেন (২০), মেহেদী হাসান (১৮), মো. আলম (২২) ও নাইদুল ইসলামকে (১৮) পুলিশে সোপদর্ করে। নববধূর বাবা জাকির ফরাজী বলেন, ফাতেমা আক্তার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত। ১ ফেব্রæয়ারি ফাতেমার বিয়ের খবর পেয়ে একাধিকবার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন তিনি। এরপরও দলীয় নেতাকমীর্ নিয়ে বিয়েবাড়িতে হামলা চালায় ইসমাইল। দেবীদ্বার থানা পুলিশের ওসি জহিরুল আনোয়ার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাতজন ছাড়াও হামলায় নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল ও তার সহযোগী সাকিবসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার তাদের রিমান্ড শুনানি হবে।