জাতীয় নিবার্চনে বিএনপি প্রাথীের্দর সক্রিয় হওয়ার কঠোর বাতার্

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নিবার্চনের পর যেসব আসনের প্রাথীর্রা নিজ নিবার্চনী এলাকার নেতাকমীের্দর খেঁাজ-খবর নেননি এবং নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন তাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির হাইকমান্ড। তাই সব আসনে সবর্স্তরের নেতাকমীের্দর পাশে দঁাড়িয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে জাতীয় নিবার্চনের ধানের শীষের প্রাথীের্দর কঠোর নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এ নিদের্শনা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে তা তদারকি এবং দূর থেকে তৃণমূলের নেতাকমীের্দর খেঁাজ-খবর নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি সূত্র মতে, নিকট ভবিষ্যতে আরেকটি জাতীয় নিবার্চন অসম্ভব মনে হলেও নতুন নিবার্চনের দাবি আদায়ই বিএনপির লক্ষ্য। এজন্য দলকে শক্তিশালী করে ঘুরে দঁাড়ানোকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। আর সংগঠনকে ঘুরে দঁাড় করাতে জাতীয় নিবার্চনে অংশ নেয়া বিএনপির প্রাথীের্দর সক্রিয় হওয়ার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। সূত্রমতে, জাতীয় নিবার্চনে বিপযের্য়র পর দলকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেন বিএনপির হাইকমান্ড। এ জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তৃণমূূলের সংগঠনের কি অবস্থা তাও জানার চেষ্টা করেন। নিবার্চনের পরে অনেক আসনে প্রাথীর্রা কমীের্দর কোন খেঁাজ-খবরই নেননি এবং অনেকে একেবারে নিস্ক্রিয় হয়ে গেছেন বলে জানতে পারেন। যেসব প্রাথীর্ নিজেদের কাযর্ক্রম শুধুই নিবার্চনে প্রাথীর্ হওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছেন তার একটি তালিকা তৈরি করছেন। তৃণমূলের নেতাকমীের্দর খেঁাজ-খবর না নেয়া প্রাথীের্দর এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে কঠোর বাতার্ দেয়া হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে এলাকার নেতাকমীের্দর খেঁাজ-খবর নেয়া ও তাদের পাশে দঁাড়িয়ে সক্রিয় হওয়ার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। বিএনপির মধ্য সারির এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, নিবার্চনে অংশ নেয়া প্রাথীের্দর নিজ আসনের যেসব নেতাকমীর্ জেলখানায় আছে তাদের মুক্ত করা, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা, যাদের ঘরবাড়ি পুঁড়িয়েছে তাদের ক্ষতিপুরণ দেয়া এবং তাদের পাশে থাকার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথীের্দর মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকমীর্রাদের কাছে একটা বাতার্ দিতে বলা হয়েছে। তা হচ্ছে, যারা নিযাির্তত হয়েছে, যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছেন তাদের উপযুক্ত সম্মান দিয়ে তাদেও নেতৃত্ব আনা হবে। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে নেতৃত্বে আনা হবে। জাতীয় নিবার্চনের প্রাথীের্দর করণীয় বিষয়ে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে স্কাইপিতে লন্ডন থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠক করেছেন। ৭০ প্রাথীর্র সঙ্গে পালা করে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী কথা বলেন দলীয় প্রধান। নিবার্চনী অনিয়মের প্রতিটি জেলায় একজন করে প্রাথীের্ক নিবার্চনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার নিদের্শনা পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তারেক রহমান। বৈঠকে দেয়া নিদের্শনার বিষয়ে নোয়াখালী ২ আসনের বিএনপির প্রাথীর্ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক যায়যায়দিনকে বলেন, বৈঠকে একটি জেলায় এক জন প্রাথীের্ক মামলার করার নিদের্শনা দিয়েছেন তারেক রহমান। পাশাপাশি দলকে আরো সুসংগঠিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। যাতে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সবাই সোচ্চার ভ‚মিকা রাখতে পারে। একই বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ৫ আসনে বিএনপির প্রাথীর্ আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, জেলা ওয়ারী মামলার করার বিষয় ছাড়া দলকে সুসংগঠিত করতে প্রাথীের্দর কিছু নিদের্শনা দিয়েছেন। নেতাকমীের্দর সুসংগঠিত করতে দল থেকে যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন তা করছেন বলেও জানান আলিম। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, নিবার্চনের বিপযের্য়র কারণে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দঁাড়াতে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প দেখছে না বিএনপির হাইকমান্ড। তাই সারাদেশে কারাগারে আটক নেতাকমীের্দর মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ শুরু করেছে দলটি। এজন্য প্রাথীের্দর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পযার্য়ক্রমে আরো কথা বলবেন তারেক রহমান। এ ছাড়া তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গেও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সঙ্গে কথা বলবেন। আর নিবার্চনের পরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে যে কমিটি করা হয়েছিল সেসব টিমের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, শুধু আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হবে নয়। এর জন্য রাজপথের আন্দোলনও প্রয়োজন। এই আন্দোলনকে ফলপ্রসূ করতে হলে সারাদেশে হতাশাগ্রস্ত নেতাকমীের্দর চাঙ্গা করতে হবে। এরপরই নতুন কমর্সূচিতে যেতে হবে। এ জন্য গত নিবার্চনে প্রাথীের্দরই প্রাথমিক কাজটা করতে হবে। তাই তাদের কিছু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্টরা পালন করছেনা কিনা তা তারেক রহমান নিজেই তদারকি করবেন। নিদের্শনা অমন্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।