প্রথম, দ্বিতীয়রাই সারাবছর ক্লাস ক্যাপ্টেন নয়

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দেশব্যাপী সরকারি-বেসরকারি স্কুল পযাের্য়র শিক্ষাথীের্দর মধ্যে নৈতিক ও মানবীয় গুণাবলি সমৃদ্ধ নেতৃত্ব বিকাশের জন্য তিন দফা পদক্ষেপ গ্রহণের নিদের্শনা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। সোমবার মাউশির ডিজি স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে স্কুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, ক্লাস ক্যাপ্টেন নিবার্চন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষাথীের্দর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের নিদের্শনা দেয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সব উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কমর্কতার্, সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ক্লাস ক্যাপ্টেনের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাষির্ক পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অজর্নকারীদেরই নিবাির্চত না করে অন্য শিক্ষাথীের্দর সুযোগ দেয়ার নিদের্শনা দিয়েছেন মাউশি মহাপরিচালক। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা গুণগত শিক্ষার অপরিহাযর্ অঙ্গ। বিদ্যালয়ে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অজির্ত হওয়া প্রয়োজন। গুরুত্বপূণর্ এ বিষয় বিবেচনায় রেখে বিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের অঙ্গন ও ওয়াশবøক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষাথীর্রা এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাযর্ক্রম পরিকল্পনা ও পরিচালনা করবে এবং শিক্ষকরা এ কাজে সহযোগিতা করবেন। ক্লাস ক্যাপ্টেন শিক্ষাথীের্দর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি, সময় সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাবোধ তৈরি করার জন্য ক্যাপ্টেনদের ভূমিকা গুরুত্বপূণর্। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ক্লাসে বাষির্ক পরীক্ষায় যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অজর্ন করে কেবল তাদেরকেই সারাবছরের জন্য ক্লাস ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে অধিকাংশ শিক্ষাথীর্র মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় না। এখন থেকে অন্য শিক্ষাথীের্দর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি সৃষ্টির জন্য শিক্ষকের তত্ত¡াবধানে প্রতি ক্লাসে একই সঙ্গে ৩/৪ জন শিক্ষাথীর্ ক্লাস ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পাবে এবং প্রতি তিন মাস অন্তর পযার্য়ক্রমে ক্লাস ক্যাপ্টেন পরিবতর্ন করতে হবে। স্কুল বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা শিক্ষাথীের্দর ভাষার চচার্, যোগাযোগ দক্ষতা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি দক্ষতা বৃদ্ধি ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির জন্য তাদের দিয়ে অনুষ্ঠানসূচি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ব্যবস্থাপনা কাযর্ক্রম সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য স্কুল পযাের্য় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- বাষির্ক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, মিলাদ, বিদায় অনুষ্ঠান, বিতকর্ প্রতিযোগিতা, পাঠ্যপুস্তক উৎসব, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, জাতীয় শোক দিবস ও অন্যান্য জাতীয় দিবস ও অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনা এবং সঞ্চালন শিক্ষাথীের্দর দিয়ে করাতে হবে এবং শিক্ষকরা এ কাজে সহযোগিতা করবেন।