প্রশ্নপত্র পেয়েই ছবি তুলে ফেসবুকে পাঠাত সে

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রশ্ন ফঁাসের গোপন খবরের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে স্মাটের্ফানসহ এক এসএসসি পরীক্ষাথীর্ উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্র (ইউএনও) হাতে ধরা পড়েছে। তার নাম সাব্বির হোসেন সজিব (১৭)। তার মোবাইলে সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া ধমর্ ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নও পাওয়া যায়। প্রতিদিনই প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই ছবি তুলে সে রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহের ভালুকাসহ পঁাচজনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাত। সজিব সখীপুর পিএম পাইলট মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রের সচিব আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে প্রশ্নপত্র ফঁাসের অভিযোগে সাব্বির হোসেন সজিবকে আসামি করে মামলা করেন। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) আমির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ওই পরীক্ষাথীর্ এসএসসি পরীক্ষার শুরুর দিন থেকে প্রতিটি পরীক্ষায় মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে যেত। পরে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই ছবি তুলে তা রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহের ভালুকাসহ পঁাচজনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাত। তারা ওই প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে সজিবের মুঠোফোনে ম্যাসেজ করত। সজিবকে প্রশ্নপত্র ফঁাসের মামলায় রিমান্ড চেয়ে আজ টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে। এদিকে সজিব যে কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল সেই ১৩ নম্বর কক্ষে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ছোটমৌশা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিন ও সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশাররফ হোসেনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের কারাদÐ দিয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রে শিক্ষকদের মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করায় সাড়াশিয়া-বাশারচালা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের, ইছাদিঘী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ হোসেন, ঢনঢনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুসাঈদ তালুকদার, রাজাবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফসহ সবাইকে ২০০ টাকা করে জরিমানা ও পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ (ইউএনও) আমিনুর রহমান।