শিক্ষকদের অনিয়ম ধরতে বিদ্যালয়ে হঠাৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদশর্ন করেন Ñযাযাদি
রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনিয়ম ধরতে ঝটিকা পরিদশের্ন নামেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঝটিকা পরিদশর্ন করেন তিনি। নিধাির্রত সময় অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা দেখতে প্রতিমন্ত্রীর এ ঝটিকা পরিদশর্ন বলে জানা গেছে। পরিদশর্নকালে শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি, শ্রেণি কাযর্ক্রম, লেখাপড়ার মান, স্কুলের পরিবেশ, শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রীসহ সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিনা খেঁাজ নেন তিনি। দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় মিরপুর বেড়িবঁাধ ‘এ’ বøক এলাকার ‘বাউনিয়া বঁাধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদশর্ন করেন তিনি। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় আদশর্ শিক্ষা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। দুটি স্কুলেরই ভবন জরাজীণর্। আধাপাকা ভবনের ওপরে টিনের চাল ভাঙাচোরা। শিক্ষাথীের্দর বসার বেঞ্চ সংকট। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর কাছে ভবন সংস্কারের দাবি জানান শিক্ষকরা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যা দেখলাম তা খুবই হতাশাজনক। তবে দ্রæত ভবন নিমাের্ণর ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি।’ বেলা দেড়টায় একই এলাকার শহীদবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান প্রতিমন্ত্রী। এ স্কুলের শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি থাকলেও প্রায় অধের্ক শিক্ষাথীর্ ছিল অনুপস্থিত। এ ছাড়া একজন শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় বহিরাগত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, বিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান পড়ালেখা করে। তাদের অনেকে বিভিন্ন কাজে যুক্ত। এ কারণে শিক্ষাথীের্দর অনেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েও পরে চলে যায়। তবে স্কুলে মিড ডে মিল চালু থাকায় শিক্ষাথীর্র উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহিরাগত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানো বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, একজন শিক্ষিকা মাতৃকালীন ছুটিতে থাকায় তার ক্লাসগুলো যাতে মিস না হয় তাই বহিরাগত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। তাকে মাসিক এক হাজার টাকায় অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে এটি অনৈতিক মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে শিক্ষিকা ছুটিতে তার ক্লাসগুলো আপনাদের করানোর কথা, সেখানে অনিয়ম করে বাহিরাগত একজনকে দিয়ে ক্লাস করাতে পারেন না।’ উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ক্লাস কাযর্ক্রমের নতুন সময়সীমা নিধার্রণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নিদের্শনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল পৌনে ৩টা ও মফস্বলে ৯টা থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পযর্ন্ত সময় নিধার্রণ করা হয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে সারাদেশে সকাল ৭টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পযর্ন্ত ক্লাস করানো নিদের্শনা দেয়া হয়।