বাছাইয়ে বৈধ ৪৯ নারী আসনের মনোনয়নপত্র

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জনের মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাছাই শেষে সংরক্ষিত নারী আসনে নিবার্চনের রিটানির্ং কমর্কতার্ আবুল কাসেম এ মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, কেউ প্রাথির্তা প্রত্যাহার না করলে তাদের বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত ঘোষণা করা হবে। ‘সংরক্ষিত আসনে আমরা ৪৯টি মনোনয়নপত্র বাছাই করেছি। বাছাইয়ে কোনো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। এ কারণে প্রাথির্তা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রæয়ারি। ওইদিন কেউ যদি তার প্রাথির্তা প্রত্যাহার না করে, তাহলে ১৭ তারিখেই আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করব।’ নিবার্চন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ১১ ফেব্রæয়ারি। ১২ ফেব্রæয়ারি সকাল ১০টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রæয়ারি। ভোটগ্রহণ ৪ মাচর্। তবে কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় ভোটগ্রহণ করা হবে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগ ২৫৮টি আসন, জাতীয় পাটির্ (জাপা) ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি আসন, বাংলাদেশের ওয়াকার্সর্ পাটির্ ৩টি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২টি আসন, জাতীয় পাটির্ (জেপি) ১টি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে। মহাজোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৯টি। অন্যদিকে বিএনপি ৬টি ও গণফোরাম ২টি আসন পেয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট ৮টি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে নিবাির্চত হয়েছেন ৩ প্রাথীর্। দল ও জোটের সংসদ সদস্য সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা আইনে বণ্টনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ৪৩টি আসন, ওয়াকাসর্ পাটির্ ১টি, জাতীয় পাটির্ ৪টি ও স্বতন্ত্র ৩ প্রাথীর্ জোট ১টি এবং বিএনপি জোট ১টি আসন পেয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন- ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবণার্ মুস্তাফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা ও নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নাগির্স রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গেøারিয়া ঝণার্ সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চঁাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রতœা আহমেদ। জাতীয় পাটির্ থেকে সালমা আক্তার, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। ওয়াকার্সর্ পাটির্ থেকে রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র থেকে নিবাির্চত সংসদ সদস্যরা সেলিনা ইসলামের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রাথীর্রা ১টি আসন পেলেও শপথ না নেয়ায় আপাতত সেই পদটি খালি থাকছে। তারা সংসদ অধিবেশন শুরুর নব্বই দিনের মধ্যে শপথ না নিলে নিবার্চন কমিশন সেসব আসনে পুনরায় নিবার্চন দেবে। এরপর নারী আসনের একটি অবশিষ্ট পদ পূরণ করা হবে। ৪৯ জনের কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত হবেন। ২০১৪ সালের দশম সংসদেও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত হয়েছিলেন।