বসন্তের ছেঁায়া লেগেছে ধরায়

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রকৃতির দক্ষিণা দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। কোকিলের কণ্ঠে বসন্তের আগমনী গান। ফুলে ফুলে ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। সব কিছুই দিচ্ছে জানান আজ পহেলা ফাল্গুন; বসন্তের ছেঁায়া লেগেছে ধরায়। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বণির্ল সাজে। তরুণ হৃদয় দুলছে আজি প্রেমের দোলায়। সব কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে বসন্ত এনেছে নতুন প্রত্যয়। তাই কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়য়ের ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।’ আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় আজ উঠবে মেতে; শীতকে জানাবে বিদায়। বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীণর্তা। বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সাকার্সসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তী রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও। এদিকে, দিনটিকে আর উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কমর্সূচি। বরাবরের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ আয়োজন করেছে বসন্ত উৎসবের। দেশসেরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বরেণ্য শিল্পীদের নানা পরিবেশনায় মুখরিত হয় চারুকলা প্রাঙ্গণ। আজ অসংখ্য রমনী বাসন্তী রংয়ে নিজেদের রাঙিয়ে রাজধানীর রাজপথ, পাকর্, বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরসহ পুরো নগরী সুশোভিত করে তুলবে। বসন্তের পূণর্তার এ দোলা ছড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশের সবর্ত্র এবং সারা পৃথিবীর সকল বাঙালির ঘরে ঘরে। কোকিলের কুহুতান, দখিনা হাওয়া, ঝরা পাতার শুকনো নুপুরের নিক্কন, প্রকৃতির মিলন, সবই যেন শুরু হবে ফাগুনের এই প্রথম দিনেই। ১৮ বছর আগে বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। বসন্তের নাচ, গান ও কবিতার পাশাপাশি ফুলের প্রীতি বন্ধনী ও বসন্ত কথনের মাধ্যমে রাজধানীর চারটি স্পটে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।