১৬ নয়, ৪ স্তরেই মিলবে ভবন নকশার অনুমোদন

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজউকের মতো দেশের অন্যান্য উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের এলাকায় ভবন নিমাের্ণর ক্ষেত্রে এখন থেকে মাত্র চার স্তরের অনুমোদন নিয়ে ভবনের নকশা করা যাবে। বতর্মানে নকশা করতে ১৬ স্তরের অনুমোদন দিতে হয়। মানুষের দুভোর্গ কমাতে গৃহায়ণ ও গণপূতর্ মন্ত্রণালয় বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গৃহায়ণ ও গণপূতর্ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃর্পক্ষসহ (বিডা) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে। সেখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে গৃহায়ণ ও গণপূতর্মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের কাছে এই সিদ্ধান্ত জানান। তিনি বলেন, দীঘির্দনের অনাকাক্সিক্ষত ভোগান্তি থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদেের্শ এসব যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে নকশা অনুমোদনে ১৬টি স্তর অতিক্রম করতে গিয়ে মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তির স্বীকার হতে হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূতর্ মন্ত্রণালয় দেখেছে, এই ১৬টি স্তরের সব কটির আবশ্যকতা নেই। যেমন: পুলিশের অনাপত্তি, ডেসার অনাপত্তি, সিটি করপোরেশনের অনাপত্তির প্রয়োজন আর নেই। শ ম রেজাউল করিম বলেন, এখন নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবনের নকশা করতে যে চার স্তরের অনুমোদন নিতে হবে, সেগুলো হলো ১. ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র, ২. বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃর্পক্ষের ভবনের উচ্চতার অনাপত্তিপত্র লাগবে। তবে এ ক্ষেত্রেও সহজ করা হয়েছে। যে অঞ্চলে বিমান চলাচল নেই, সে অঞ্চলের জন্য এই অনাপত্তি নিতে হবে না। এ বিষয়ে একটি গেজেটের প্রয়োজন হবে, সেটাও দু-এক দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। ৩. কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই) বা বিশেষ গুরুত্বপূণর্ স্থাপনা ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর অনাপত্তি লাগবে। অথার্ৎ বিশেষ বিশেষ ভবন, যেমন: বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয় বা এ–জাতীয় স্পশর্কাতর এলাকার ক্ষেত্রে এই অনাপত্তি লাগবে। ৪. এত দিনের ভবনের নকশা করতে ফায়ার সাভিের্সর অনাপত্তি লাগত, এটা এখন শুধু ১০ তলা ভবনের ওপরে হলে এই অনাপত্তি লাগবে। এ ছাড়া আগে ভবনের প্ল্যান পাস করাতে ১৫০ দিনের প্রয়োজন হতো, এখন সেটা সেটা কমিয়ে ৫৩ দিন করা হয়েছে। আর এসব কাজ হবে অটোমেশন পদ্ধতিতে। এ ছাড়া এখন থেকে ইমারত নিমাের্ণ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অকালে শ্রমিকেরা প্রাণ হারান, তারাও ক্ষতিপূরণের সুযোগ পাবেন। মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এই সিদ্ধান্তগুলো অনুযায়ী কাজ হবে। তবে আগামী ১ মে থেকে এই কাজগুলো পুরোপুরিভাবে হবে।