ফরিদপুরে দুদকের মামলায় ব্যাংক কমর্কতার্র যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
দুদকের মামলায় ইসলামী ব্যাংকের এক কমর্কতাের্ক যাবজ্জীবন দিয়েছে ফরিদপুরের আদালত। ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আদালত তাকে দুটি পৃথক ধারায় চার লাখ সাত হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাকে আরও সাত মাস কারাগারে থাকতে হবে। সাজাপ্রাপ্ত শামসুর রহমান শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা শাখায় ইসলামী ব্যাংকে সহকারী ক্যাশিয়ার পদে দায়িত্ব পালন করতেন। ২০১২ সালের ২০ মাচর্ থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। দুদকের আইনজীবী মো. মজিবুর রহামন মামলার নথির বরাতে বলেন, শামসুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের ডামুড্যা শাখায় দায়িত্ব পালনের সময় ২০১২ সালের ২০ মাচর্ দুপুর ১টার দিকে নামাজে যাওয়ার কথা বলে ব্যাংক থেকে বের হন। তিনি আর ফিরে আসেননি। ওইদিন বিকালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুন্সি রেজাউল রশিদ ঊধ্বর্তন কমর্কতার্র সহায়তায় অতিরিক্ত চাবি দিয়ে ক্যাশ ভল্ট খুলে এক লাখ ৭০ হাজার টাকার হিসাব পাননি। এ ছাড়া তদন্তে ধরা পড়ে শামসুর রহমান ব্যাংকের গ্রাহক নূরজাহানের ৩০ হাজার টাকা, মতি ফকিরের এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও চান মিয়ার ৩২ হাজার টাকাসহ মোট দুই লাখ ৩২ হাজার টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ওইদিনই ব্যবস্থাপক রেজাউল ডামুড্যা থানায় শামসুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন। ওইদিনই তাকে ব্যাংক থেকে বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত শেষে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক কমলচন্দ্র পাল মোট চার লাখ দুই হাজার টাকা আত্মসাতের কথা উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেন আদালতে। আইনজীবী মজিবুর রহামন বলেন, আদালত দুটি ধারায় শামসুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে দÐ দিয়েছে। ১৮৬০ সালের দÐবিধির ৪০৯ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐ এবং চার লাখ দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম দÐ দেয় আদালত। এ ছাড়া ১৯৪৭ সালের দুনীির্ত প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে পঁাচ বছর সশ্রম কারাদÐ ও পঁাচ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। এ জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।”