আদালত অবমাননার দায়ে সাবেক জেলা জজের জরিমানা

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আদালত অবমাননার দায়ে ফেনীর সাবেক জেলা জজ মো. ফিরোজ আলমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদÐ দিয়েছেন হাইকোটর্। বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটর্ বেঞ্চ এ রায় দেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোটের্র বিচারপতিদের ভ্রমণ ও পরিদশের্নর ক্ষেত্রে প্রটোকল ব্যবস্থা নিয়ে কয়েক দফা নিদের্শনা দিয়েছেন আদালত, যা সাকুর্লার আকারে জারি করতে সুপ্রিম কোটের্র রেজিস্ট্রার জেনারেল ও আইনসচিবকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে অক্টোবরে তৎকালীন হাইকোটর্ বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম ফেনী যান। বিষয়টি অবিহিত করার পরও ফেনীর জাজশিপ থেকে কোনো প্রতিনিধি আসেনি বা যোগাযোগও করেননি। এরপর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর হাইকোটর্ ফেনীর জেলা জজ মো. ফিরোজ আলমসহ তিনজনের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দেন। এর বিরুদ্ধে ফিরোজ আলম আপিলে আবেদন করেন, যা ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি খারিজ হয়। আদালত অবমাননার রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোটর্ আজ রায় দেন। অপর দুজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আদালতে ফিরোজ আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফয়সাল এস খান ও মইনুদ্দীন। অপর দুজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মিনহাজুল হক চৌধুরী। রায়ের বিষয়টি জানিয়ে মিনহাজুল হক চৌধুরী বলেন, সুপ্রিম কোটের্র বিচারপতিরা যদি কোনো জেলা পরিদশর্ন বা ভ্রমণে যান, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা আদালত ও জেলার অন্য কমর্কতার্রা কী ধরনের প্রটোকল ব্যবস্থা দেবেন, সে বিষয়ে হাইকোটর্ সুনিদির্ষ্ট চার দফা নিদের্শনা দিয়েছেন। বিচারপতি পৌঁছানোর পর বা তঁার অবস্থানস্থলে জেলা জজ অথবা অতিরিক্ত জেলা জজ পদমযার্দার কমর্কতার্ থাকতে হবে। উপজেলা পযাের্য় গেলে সে ক্ষেত্রেও আদালতের জাজিং চাজর্ নেজারত বা আদালতের স্টাফ থাকতে হবে। ফেরার সময়ও জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ তাকে বিদায় জানাবেন বলা হয়েছে। এই নিদের্শনাগুলো সাকুর্লার আকারে জারি করতে রেজিস্ট্রার জেনারেল ও আইনসচিবকে নিদের্শ দিয়েছে হাইকোটর্।