প্রতি বছর যুদ্ধে মারা যায় ১ লাখ শিশু

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সোমালিয়ার স্বজনহারা এক শিশু Ñফাইল ছবি
বিশ্বে যুদ্ধ এবং এর প্রভাবে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ শিশু মারা যায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত মারা গেছে প্রায় সাড়ে পঁাচ লাখ শিশু। শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইন্টারন্যাশনাল। জামাির্নর মিউনিখ নিরাপত্তা কনফারেন্সে এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি। পঁাচ বছরে যে পঁাচ লাখ শিশু মারা গেছে, তার কারণ যুদ্ধ এবং এর পরবতীর্ প্রভাব যেমনÑখাদ্যাভাব, চিকিৎসার অভাব, স্বাস্থ্য সুবিধার অভাব, স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব এবং ত্রাণসামগ্রীর অভাব। সংবাদমাধ্যম বলছে, সশস্ত্র বাহিনীগুলো শিশুদের অপহরণ করে যৌন নিযার্তন এবং হত্যা ও বিকলাঙ্গ করে দেয়ার হুমকি দেয়। সেভ দ্য চিল্ড্রেনের প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ (সিইও) হেলে থনির্ং-স্কিমিড বলেন, বতর্মানে গড়ে প্রতি পঁাচটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা কিংবা এর আশপাশে বসবাস করছে। যা গত দু-দশকের চেয়ে বেশি। বিবৃতিটিতে তিনি বলেন, শিশুহত্যা এবং এদের বিকলাঙ্গ করে দেয়ার পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। এ কাজে সহায়তা হিসেবে যুদ্ধের অস্ত্র ব্যবহারও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। পিস রিসাচর্ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা কিংবা এর আশপাশে প্রায় ৪২০ মিলিয়ন শিশু বসবাস করছে। এ হিসেবে বিশ্বের ১৮ শতাংশ শিশুই ঝুঁকিতে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো, ইরাক, মালি, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেন। সংস্থাটি আরও বলছে, গত পঁাচ বছরে যুদ্ধে পরোক্ষভাবে মারা গেছে প্রায় আট লাখ ৭০ হাজার শিশু। যেখানে পঁাচ বছরের কম বয়সী শিশুরাও ছিল। প্রতিবেদনটিতে শিশুর সুরক্ষার ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়াতে সবির্নম্ন বয়স ১৮ করার কথাও অন্তভুর্ক্ত। শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করে থনির্ং-স্কিমিড বলেন, এটা হতাশাজনক। শিশু এবং বেসামরিকদের কখনও লক্ষ্যবস্তু করা ঠিক নয়। এই সাধারণ নীতিটি ২১ শতকে এসেও মানা হচ্ছে না।