নারী আসনে ৪৯ জন বিনা ভোটে নিবাির্চত

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পাটির্, ওয়াকার্সর্ পাটির্ ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত হয়েছেন। শনিবার প্রাথির্তা প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। পাশাপাশি অতিরিক্ত কোনো প্রাথীর্ না থাকায় এই ৪৯ জনকে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত ঘোষণা করেন এই নিবার্চনের রিটানির্ং কমর্কতার্ আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নিবাির্চত ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে নিবাির্চতদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।’ গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সাংসদ হিসেবে শপথ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দলগুলোর প্রাপ্ত সাধারণ আসনের সংখ্যানুপাতে বণ্টিত নারী আসনে বিএনপির একটি আসন পাওয়ার সুযোগ থাকলেও দলটি থেকে নিবাির্চতরা এখনো শপথ নেয়নি বলে তাদের নারী আসন স্থগিত রয়েছে, তাই প্রাথীর্ একজন কম হয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য সব রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের জোটের প্রাথীর্রা নিধাির্রত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের পাওয়া ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে রয়েছেন সমাজসেবী আরমা দত্ত, অভিনেত্রী সুবণার্ মুস্তাফা। জাতীয় পাটির্ তাদের পাওয়া চারজনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। তার মধ্যে সরকারি নিবার্চনে অংশ নিয়ে হেরে যাওয়া সালমা ইসলামও রয়েছেন। জাতীয় পাটির্র অন্য তিন নারী সংসদ সদস্য হচ্ছেন দলের সভাপতিমÐলীর সদস্য মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। ওয়াকার্সর্ পাটির্ একজনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্য দিয়ে সংসদ সদস্য নিবাির্চত হলেন দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান । স্বতন্ত্র প্রাথীের্দর পক্ষ থেকে নারী আসনে এমপি নিবাির্চত সেলিনা ইসলাম যিনি ল²ীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী। আওয়ামী লীগের ৪৩ জন ঢাকা থেকে সুবণার্ মুস্তাফা, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম; কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত; ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী; বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম; পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নরসিংদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নাগির্স রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে গেøারিয়া ঝণার্ সরকার, টাঙ্গাইল থেকে খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চঁাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রতœা আহমেদ।