হাবের হজ প্যাকেজ ঘোষণা

সবির্নম্ন খরচ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ-২০১৯ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। রাজধানীর নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরির হলরুমে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। হাব মহাসচিব এম শাহাদাত হোসেন তসলিম হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার সবির্নম্ন খরচ জনপ্রতি ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা। রোববার (১৭ ফেব্রæয়ারি) থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হবে। ঘোষিত প্যাকেজে প্লেন ভাড়া ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা, সৌদি আরবে প্রদেয় বিভিন্ন সাভির্স চাজর্ ও পরিবহন ভাড়া ৪০ হাজার ৮৮২ টাকা ৫০ পয়সা, জমজমের পানি ২৬০ টাকা, অতিরিক্ত সাভির্স চাজর্ ও ভ্যাট ৩৫ হাজার ৪৩৭ টাকা ৫০ পয়সা, স্থানীয় সাভির্স চাজর্ ৮০০ টাকা, হজযাত্রীদের কল্যাণ তহবিল ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা, চিকিৎসা কেন্দ্র ফি ১০০ টাকা, খাওয়া খরচ ৩০ হাজার, অন্যান্য খরচ ১ হাজার ২১৫ টাকা ও প্রাক-নিবন্ধন ফি ২ হাজার টাকা নিধার্রণ করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (১১ ফেব্রæয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, চলতি বছর হজ পালনে খরচ বেড়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের বিধান রেখে ‘হজ প্যাকেজ, ১৪৪০ হিজরি/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংবাদ সম্মেলনে হাব মহাসচিব বলেন, ‘হজ এজেন্সির কারণে হজযাত্রীরা দুভোের্গ পড়েন না। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও ফড়িয়াদের কাছে টাকা জমা দিয়েই তারা বিপদ পড়েন। বাড়ির পাশের লোকটির কাছে টাকা জমা দিয়ে তারা মনে করেন নিরাপদে হজযাত্রা করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে পড়েন বিপাকে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ধমর্ মন্ত্রণালয় ও হাবের সম্মিলিত উদ্যোগ সবোর্পরি হজ গমনেচ্ছুদের সচেতন হতে হবে।’ এ বছর নিবন্ধনের পর হজযাত্রীরা যে ভাউচার পাবেন তার নিচে নিয়মাবলিতে বাকি টাকা সরাসরি হজ এজেন্সির কাছে জমা দেয়ার কথা উল্লেখ থাকবে বলে জানান হাব মহাসচিব।