ডক্টর ইউনূসকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি থাকবেন জামিনে
প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আবেদনে সাড়া দেননি শ্রম আদালত। আদালত বলেছেন, ডক্টও ইউনূস জামিনে থাকবেন। একই সঙ্গে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন। আদালত ডক্টর ইউনূসের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন পিছিয়ে আগামী ১৩ জুলাই ধার্য করেছেন।
এদিন আদালতে ডক্টর ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুলস্নাহ আল মামুন। কলকারাখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে সকালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, ডক্টর ইউনূস আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তার জামিন বাতিল করা প্রয়োজন।
গত ৬ জুন নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ডক্টর ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন- এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।
গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের
চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ডক্টর ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ডক্টর ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।