ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি ২২ ফেব্রম্নয়ারি

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে গণশুনানি আয়োজনের তারিখ এগিয়ে এনেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পূর্বনির্ধারিত তারিখ ২৪ ফেব্রম্নয়ারির পরিবর্তে গণশুনানির নতুন তারিখ ২২ ফেব্রম্নয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠক হয়। বৈঠকে গণশুনানির তারিখ পরিবর্তন করা হয়। ঐক্যফ্রন্ট সূত্র জানায়, ২২ ফেব্রম্নয়ারি সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এই গণশুনানি হবে। দুইদিন কেন এগিয়ে আনা হলো প্রশ্ন করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেন, কোথাও \হজায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনটি ২২ ফেব্রম্নয়ারি পাওয়া গেছে। সেজন্য গণশুনানির তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। এই গণশুনানি থেকে কী অর্জন করবে ফ্রন্ট জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। সেদিন জনগণ জানতে পারবে একাদশ নির্বাচনে কী ঘটেছিল, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রার্থীরা তুলে ধরবেন। এই গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য ছাড়াও বাম ও গণতান্ত্রিক যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিযেছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান আ স ম আবদুর রব। নিবন্ধন বাতিল হওয়া সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে তাদের এই গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না এ রকম প্রশ্নে ড. কামাল হোসেন জানান, এগুলো তার জানা নেই। তবে রব বলেন, 'স্যার যেটা বলেছেন ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সকল প্রার্থী, পস্নাস বাইরে বাম ঐক্যজোটসহ প্রগতিশীল দলের যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। আর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, নির্বাচনে ফ্রন্টে জামায়াত ছিল না। এ সময়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, 'আপনারা তো উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন করেন। বলা হলো তো জামায়াতে ইসলামী ছিল না।' সরকারবিরোধী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাতপাখা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তাদের গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না প্রশ্ন করা হলে আ স ম আবদুর রব বলেন, 'এটা বিবেচনা করে দেখা হবে।' বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে দেড় ঘণ্টা এই বৈঠকটি হয় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে। তার সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান, আবদুস সালাম, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুলস্নাহ কায়সার, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।