সব পুড়ে ছাই হলেও আগুনের ছোঁয়া লাগেনি মসজিদে

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর আশপাশের সব ভবন পুরে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অক্ষত অবস্থায় আছে পাশের মসজিদ ও আরবি কায়দা। মসজিদের ভেতরে যারা অবস্থান নিয়েছিলেন তাদের সবাই সুস্থ অবস্থায় ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, চুড়িহাট্টা জামে মসজিদটি আগুনে পুড়ে অঙ্গার ওয়াহেদ ম্যানশনের পাশেই অবস্থিত। মসজিদের সামনের অংশ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে মসজিদের চার পাশের সব ভবনের মতো মসজিদের ভেতরে কোনো ক্ষতি হয়নি। অথচ মসজিদের সামনেই ছিল ট্রান্সমিটার। আর আগুনের সূত্রপাত মসজিদের গেটের সামনে থেকেই। অথচ শুধু চুড়িহাট্টা জামে মসজিদে ভয়াবহ এই আগুনের লেলিহান শিখার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। মসজিদটি অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। বেঁচে গেছেন মসজিদে ঠাঁই নেয়া মানুষরাও। বাইরের কিছু টাইলস খুলে পড়া ছাড়া কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি মসজিদটির। কথা হয় মসজিদের খাদেমের সঙ্গে। তিনি মহান আলস্নাহর শুকরিয়া জানিয়ে বলেন, রাস্তার মানুষগুলো এভাবে চলে গেল, ভাবতেই খারাপ লাগছে। তবে যারা মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছেন আলস্নাহর ইচ্ছায় তাদের কিছুই হয়নি। এ সময় মসজিদের ভেতরে অস্থায়ী ফায়ার সার্ভিসের তথ্যকেন্দ্র বসানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী জানান, শাহী মসজিদের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফেরিত হয়ে আগুন লাগে। সেই আগুন গিয়ে লাগে বিদু্যতের ট্রান্সফরমারে। সেখান থেকে কেমিক্যাল মজুত দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দাউ দাউ করে কয়েক মুহূর্তেই আগুন ওয়াহেদ ম্যানসন ও রাজ্জাক ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আশ্চর্যজনক কথা হলো, আগুন মসজিদের ভেতরে ঢোকেনি। স্থানীয় বাসিন্দা মনির আহমেদ বলেন, 'আগুন লাগার পর অনেকেই মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে, যারা দোকানে শাটার বন্ধ করে আশ্রয় নিয়েছে তারা সবাই মারা গেছে, কিন্তু আলস্নাহ রহমতে মসজিদের কোনো ক্ষতি হয়নি, দেখেন আশপাশে সব বিল্ডিং পুইড়া গেছে। মসজিদের অপর পার্শ্বে মুদিদোকান সেখানে দেখা যায় কৌতূহলভাবে সবাই ছবি তুলছে একটি আরবি কায়দার, মুদি দোকানের সব কিছু পুড়ে ছাই হলেও আরবি কায়দার সব আরবি হরফগুলা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।'