এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের ১৫তম মৃতু্যবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। ১৯৪৫ সালের ২০ জানুয়ারি কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কামরুল ইসলাম সিদ্দিক। ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক এবং ১৯৭৭ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল পস্ন্যানিংয়ের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বহুমাত্রিক প্রতিভা, কর্মদক্ষতা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এ মহান প্রকৌশলী বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের অন্যতম রূপকার। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে তিনি অভূতপূর্ব দূরদৃষ্টির পরিচয় দেন। সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগ এবং এর সফল বাস্তবায়ন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যায়। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি স্বীয় কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন। দেশের গ্রামীণ আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নে তার অবদান সবার কাছে তা স্মরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ছিলেন দক্ষ ব্যবস্থাপক ও উদ্ভাবনী চিন্তায় পরিপূর্ণ একজন মানুষ। তিনি সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০৩-০৪ মেয়াদে গেস্নাবাল ওয়াটার পার্টনারশিপের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রথম চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
কামরুল ইসলাম সিদ্দিক দক্ষিণ এশিয়ার পলস্নী অবকাঠমো উন্নয়নের ইতিহাসে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বাদ জুমা এলজিইডির সদর দপ্তর ও জেলা পর্যায়ে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
