কারসাজি নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়ে ডিম আমদানি করছে সরকার সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তার ডিজি

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৈশ্বিক পরিস্থিতি, ডলার ও জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়লেও দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যেসব কর্পোরেট কোম্পানি বা বড় ব্যবসায়ী বাজার অস্থিতিশীল করে তা গ্রহণযোগ্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকার বাধ্য হয়ে ডিম আমদানি করছে। যারা ডিমের দাম নিয়ে কারসাজি করছে তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্যই এ উদ্যোগ। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এসব কথা বলেন। ভোক্তা সচেতনতামূলক বিতর্ক প্রতিযোগিতা উপলক্ষে যৌথভাবে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও ভোক্তা অধিদপ্তর যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে সফিকুজ্জামান বলেন, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সবসময় তাদের অভিযান পরিচালনা করছে। আলু ন্যায্য মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে উৎপাদক পর্যায় থেকে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত অধিদপ্তর সংযোগ করে দিচ্ছে, যাতে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা যায়। তবে শুধু আলুর দাম কমালেই হবে না, কৃষকদের উৎপাদন খরচও বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনের কিছুটা দুর্বলতার পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে। ১৭টি জেলায় অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা নেই। তারপরও সারা দেশে প্রতিদিন অধিদপ্তরের ৪০-৫০টি টিম দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শুধু বিক্রেতা নয়, ক্রেতাসহ সাধারণ জনগণকেও সচেতন হতে হবে যাতে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যেই ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ, জেল-জরিমানা বা শাস্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এ জন্য ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ঈদ, পূজা বা কোনো উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না। জোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্যবৃদ্ধি করা উচিত নয়।