সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে আপিলে খালেদা

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে কারাগারে থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিনের আরজিও রয়েছে। বুধবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই লিভ টু আপিলটি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। বৃহস্পতিবার এই আপিলের বিষয়টি জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, 'অন্যায্যভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, আমরা শুনানির সুযোগ পাইনি। আমাদের না জানিয়ে এ রায় দেয়া হয়েছে, এসব যুক্তিতে আপিল করা হয়েছে। এতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত ও বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিনও চাওয়া হয়েছে। সামনে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শুরু হচ্ছে। অবকাশ শেষে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।' জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। রায়ে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। অর্থদন্ডের টাকা প্রত্যেককে সম-অঙ্কে প্রদান করার কথা বলা হয়। কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ পৃথক আপিল করেন। পরে গত বছরের অক্টোবরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদন্ড দেন হাইকোর্ট। ধর্মীয় উসকানির মামলায় খালেদার জামিন আবেদন এদিকে ধর্মীয় উসকানির মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীর আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানায়। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের জন্য ১৮ ফেব্রম্নয়ারি দিন রেখেছিলেন বিচারক। ওইদিন প্রতিবেদন জমা না পড়ায় ১৪ মার্চ দিন রাখা হয়েছিল।