ঢাকার সিভিল সাজের্নর অফিসে দুদকের হানা

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোট
ঢাকার সিভিল সাজের্নর অফিসে স্বাস্থ্যগত সনদ দেয়ার সময় বাধ্যতামূলকভাবে ঘুষ আদান-প্রদানের প্রমাণ পেয়েছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের হটলাইনে (১০৬) কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তাৎক্ষণিক এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুদক কমর্কতার্রা দেখতে পান, জনপ্রতি ন্যূনতম ৩০০ টাকা থেকে সবোর্চ্চ এক হাজার টাকা পযর্ন্ত অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানের সমন্বয়ে পুলিশসহ ছয় সদস্যের একটি দল আজিমপুরের সিভিল সাজর্ন কাযার্লয়ে অভিযান চালায়। দুদকের জনসংযোগ কমর্কতার্ প্রণব কুমার ভট্টাচাযর্্য জানান, দুদক টিমের জিজ্ঞাসাবাদে সিভিল সাজর্ন অফিসের কমর্চারীরা স্বীকার করেন, তারা জনপ্রতি ন্যূনতম ৩০০ হতে সবোর্চ্চ ১০০০ টাকা পযর্ন্ত অবৈধভাবে আদায় করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার এ অভিযানে কীভাবে ভুক্তভোগীরা হয়রানির শিকার হন, কিভাবে তাদের কাছ থেকে অথর্ আদায় করা হয়, কিভাবে আদায় করা অথর্ বিলি-বণ্টন হয়, তা উদঘাটন করেন দুদক কমর্কতার্রা। পরে সিভিল সাজর্ন অফিসে দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত চাকরি প্রাথীের্দর মাঝে দুনীির্তবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইন (১০৬)-এর স্টিকার বিতরণ করা হয়। অবৈধভাবে অথর্ আদায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রæত সময়ের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনফোসের্মন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দীঘির্দন যাবৎ এ দুনীির্ত চলে আসছে। গৃহীত জবানবন্দি ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শিগগিরই দুদক দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে আজকের অভিযানের পর ঘুষ-দুনীির্তর প্রবণতা সম্পূণর্ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হাতেনাতে গ্রেপ্তারের জন্য ট্র্যাপ টিম সাবর্ক্ষণিক নজরদারি করছে।’