আজ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃতু্যবার্ষিকী

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গণতন্ত্রের মানসপুত্র ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃতু্যবার্ষিকী আজ। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে সমাহিত রয়েছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের পক্ষে মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলি জাতিকে সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। বিবৃতিতে তিনি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোর সব স্তরের নেতাকর্মীদের দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার আহ্বান জানান। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। ছিলেন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার চেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। তিনি পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তাতে তিনি নেতৃত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল হিসেবে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয় আসে। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধী-সমাজ তাকে 'গণতন্ত্রের মানসপুত্র' আখ্যায়িত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যে কতটা প্রভাব ছিল তা স্পষ্ট হয়েছে বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটিতে। বইতে সবচেয়ে বেশি এসেছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথা। প্রায় পুরো বইতেই বঙ্গবন্ধু তাকে 'শহীদ সাহেব' বলে সম্বোধন করেছেন। সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসার এক বিশেষ প্রেরণা, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং পরম শ্রদ্ধার পাত্র। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানীতে বৈরুতে একটি হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।