পাসের হার ৬৬.৬৪%

এইচএসসিতে এবারও ফল বিপযর্য়

ইংরেজি-গণিত ও মানবিকে খারাপ ফলের ধাক্কায় কমেছে পাস ও জিপিএ-৫ মেয়েরা পাসে, ছেলেরা জিপিএ-৫ এ এগিয়ে ৫৫ প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল সবাই পাস ৪০০ প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাতা দেখায় পাস কম: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফল প্রকাশের পর কাক্সিক্ষত সাফল্যে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন কয়েকজন শিক্ষাথীর্। ছবিটি রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তোলা Ñযাযাদি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ইংরেজি, গণিত ও মানবিকে খারাপ ফল করার কারণে সামগ্রিক ফল নিম্নমুখী হয়েছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষাথীর্। এর মধ্যে পাস করেছে আট লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। মোট অনুত্তীণর্ চার লাখ ২৯ হাজার ৯৬৫ জন। অথার্ৎ ৩৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ শিক্ষাথীর্ ফেল করেছে। বোডির্ভত্তিক ফলে এবার সবচেয়ে ভালো করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোডর্। সাধারণ শিক্ষা বোডের্র মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল বোডর্। আর সবচেয়ে খারাপ করেছে যশোর ও দিনাজপুর শিক্ষাবোডর্। কিন্তু কুমিল্লা শিক্ষা বোডের্র ফলাফল গতবারের চেয়ে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫ দশমিক ৪২ শতাংশে এসে ঠেকেছে। গত বছর সারাদেশের পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। সে হিসেবে এবার পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর জিপিএ পঁাচ পাওয়া শিক্ষাথীর্র সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন থেকে কমে দঁাড়িয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জনে। যা গতবারের চেয়ে আট হাজার ৭০৭ জন কম। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার চ‚ড়ান্ত এ ফলাফলে এবারও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা পাসের হারে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। এবার ছেলেরা মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৫৮১ জন। যার বিপরীতে মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৬৮১ জন। ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে এক হাজার ৯০০ জন জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে। পাস করা শিক্ষাথীের্দর মধ্যে ছেলে চার লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৯ জন এবং মেয়ে চার লাখ ২৩ হাজার ৮৪৩ জন। এ বছর ১০ শিক্ষা বোডের্ ছেলেদের পাসের হার ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। তবে এবারের ফলাফলের সবচেয়ে ইতিবাচক দিকটি হলো বিজ্ঞান বিভাগে পাস করা শিক্ষাথীর্র সংখ্যা ও জিপিএ-৫ উভয় দিক দিয়েই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অগ্রগতি হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার বিজ্ঞান বিভাগে ১০ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষাথীর্ বেশি পাস করেছে। অনুপাতের দিক দিয়ে এর পরিমাণ ৭৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ হাজার ১৭১ জন। যেখানে বাণিজ্য ও মানবিকে পাসের হার যথাক্রমে ৬৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ দুই বিভাগে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা যথাক্রমে দুই হাজার ৪৩৭ এবং এক হাজার ৯৫৪ জন। অথচ এ দুই বিভাগে শিক্ষাথীর্র সংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ে ঢের বেশি। গত কয়েক বছরের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৬ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর পরের বছর অথার্ৎ ২০১৭ সালে পাসের হার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে দঁাড়ায় ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর তারও এক বছর পর এবার পাসের হার ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে এসে ঠেকেছে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে। ধারাবাহিক এ ফল বিপযের্য়র কারণ জানতে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করায় পাসের হার কমেছে। আমরা মানসম্মত শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তাই পাসের হার কমলেও সব খাতা যাতে সঠিকভাবে মূল্যায়ন হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে- এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ তবে বিভাগ, বোডর্ ও বিষয়ভিত্তিক ফলাফল ঘেঁটে দেখা গেছে, সবক্ষেত্রে মন্ত্রীর এ বক্তব্য মিলছে না। বরং অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও ইংরেজি ও গণিতে রেকডর্সংখ্যক ফেল করেছে। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের ফল ইতিবাচক হলেও ভয়াবহভাবে ধস নেমেছে মানবিকের ফলে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ের ফলাফল ঘেটে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি বিভাগেই পাসের হার ৯০ শতাংশ বা তারও ওপরে রয়েছে। বাণিজ্যিক বিভাগের বিষয়গুলোতেও পাসের হার সন্তোষজনক। কিন্তু মানবিক বিভাগের বিষয়গুলোতে পাসের অবস্থা খুবই নাজুক। এ বিভাগে এবার মোট পরীক্ষা দেয় পঁাচ লাখ ৬৪ হাজার ২৩১ জন শিক্ষাথীর্। কিন্তু পাস করেছে মাত্র তিন লাখ ১৮ হাজার ৫৪৪ জন শিক্ষাথীর্। পাসের হার ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ফেল করেছে ৪৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মোট শিক্ষাথীর্র মধ্যে মানবিক বিভাগের শিক্ষাথীর্র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ হিসেবে মানবিকের এ বিপযর্য় পুরো ফলাফলকে নিম্নমুখী করেছে বলেই মনে করছেন দেশের শিক্ষা-সংশ্লিষ্টরা। এর বিপরীতে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার প্রায় ৮০ এবং বাণিজ্যে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। এ অবস্থায় শিক্ষাবিদরা মানবিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার দাবি তুলেছেন। আবার বিষয়ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ইংরেজি বিভাগে ফেল করেছে প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষাথীর্। গণিতেও ফেলের হার একই রকম। এ অবস্থায় মানবিকের পর ইংরেজি ও গণিতও পাসের নিম্নমুখী হারে প্রভাব ফেলেছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। এ কারণে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা মানবিক, ইংরেজি ও গণিতে গুরুত্ব বাড়াতে বলছেন। মাধ্যমিক পযাের্য় ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগের মানোন্নয়নের জন্য বাড়তি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। যার প্রভাবও পড়েছে মাধ্যমিক পযাের্য়র শিক্ষাব্যবস্থায়। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে এ ধরনের কোনো বিশেষ ব্যবস্থা না থাকার কারণে ইংরেজি ও গণিতে ফল ভালো করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে তারা উচ্চ মাধ্যমিক পযাের্য়ও বাড়তি শিক্ষক নিয়োগের কথা বলছেন। অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগে সরকার গুরুত্ব দেয়ায় শিক্ষাবিদরা এর ভ‚য়সী প্রশংসা করলেও মানবিকে অবহেলার কারণে সমালোচনাও করছেন। শিক্ষাবিদ মহিতুল ইসলাম এ বিষয়ে যায়যায়দিনকে বলেন, ‘ইংরেজি-গণিতে ফল খারাপের মূল কারণ এ দুটি বিষয় তুলনামূলক কঠিন। বিষয়টি অনুধাবন প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক পযাের্য় বাড়তি শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার আদেশ দেন। যা দেয়ার পর মাধ্যমিকের ফলাফলে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবতর্ন এসেছে। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানেও মাধ্যমিকে মতো বাড়তি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাদের যথাযথ্য প্রশিক্ষণ দিতে পারলে অবশ্যই এখানেও পরিবতর্ন আসবে।’ তবে মানবিকের ফল বিপযর্য় নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানে গুরুত্ব বাড়ানো অত্যন্ত বিচক্ষণ একটি সিদ্ধান্ত। কিন্তু এর মানে এই নয় যে মানবিকে গুরুত্ব কমাতে হবে। এ সময় বিজ্ঞানের বিকল্প নেই। কিন্তু মানবিক যেন পিছিয়ে না যায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’ উল্ল্যেখ্য, চলতি বছর ২ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা চলে। এরপর ১৪ থেকে ২৩ মে নেয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। সারাদেশে দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হন্তান্তর করেন। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা বোডের্র চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রী। তারপর দুপুর দেড়টা থেকে শিক্ষাথীর্রা অনলাইন ও এসএমএস করে ফলাফল পেয়ে যায়। দুপুর ১টায় মন্ত্রীর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, বিভিন্ন শিক্ষা বোডের্র চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমর্কতার্ প্রমুখ। ১০ বোডের্র ফলাফল এবার ঢাকা শিক্ষা বোডের্র পাসের হার ৬৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, রাজশাহী বোডের্র ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ, কুমিল্লা বোডের্র ৬৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, যশোর বোডের্র ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোডের্র ৬২ দশমিক ৭৩, বরিশাল বোডের্র ৭০ দশমিক ৫৫, সিলেট বোডের্র ৬২ দশমিক ১১ শতাংশ। বিআইএসই ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোডের্ ৭৮ দশমিক ৬৭, কারিগরি শিক্ষা বোডের্ ৭৫ দশমিক ৫০ এবং ডিআইবিএস ৮৭ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষাথীর্ পাস করেছে। আটটি সাধারণ বোডের্ মোট পরীক্ষাথীর্ ছিল ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে অংশ নেয় ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৮ জন। পাস করে ছয় লাখ ৯১ হাজার ৯৫৮ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোডের্ অংশ নেয় ৯৭ হাজার ৭৯৩ জন। পাস করে ৭৬ হাজার ৯৩২ জন। পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ২৪৪ জন। আর কারিগরিতে অংশ নেয় এক লাখ ১৮ হাজার। পাস করে ৮৯ হাজার ৮৯ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪৫৬ জন। বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাথীর্ ছিল ২৮৫ জন। পাস করেছে ২৬৩ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। বিভাগভিত্তিক ফলাফল এ বছর বিজ্ঞান ও গাহর্স্থ্য বিজ্ঞান শাখায় অংশ নেয় দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯০৩ জন শিক্ষাথীর্। উত্তীণর্ হয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৮ জন। পাসের হার ৭৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ হাজার ১৭১ জন। মানবিক, ইসলাম শিক্ষা ও সঙ্গীত শাখায় অংশ নেয় পঁাচ লাখ ৬৪ হাজার ২০১৩ জন। যা বিভাগ হিসেবে সবোর্চ্চ। পাস করেছে তিন লাখ ১৮ হাজার ৫৪৪ জন। পাসের হার ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৯৫৪ জন। পাসের হার ও জিপিএ-৫ উভয় দিক দিয়েই এ বিভাগ সবচেয়ে পিছিয়ে। আর ব্যবসায়ে শিক্ষায় অংশ নেয় দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৪ জন। পাস করে এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৬ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪৩৭ জন। শতভাগ পাস-ফেল এবার ৪০০ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। কেউ পাস করেনি ৫৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গত বছর শতভাগ পাস করে ৫৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কমেছে ১৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত বছর ছিল ৭২টি। পুনঃনিরীক্ষার আবেদন শুক্রবার থেকে বরাবরের মতো সরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ‘টেলিটক’ থেকে ২০ জুলাই (শুক্রবার) থেকে ২৬ জুলাই পযর্ন্ত এইচএসসি আলিম ও সমমানের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবোডর্ সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে বোডের্র নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএস ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পাসোর্নাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে আরএসসি লিখে স্পেস দিয়ে ইয়েস লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। পুনঃনিরীক্ষার আবেদনে প্রতিটি বিষয় ও প্রতিপত্রের জন্য ১৫০ টাকা হারে চাজর্ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) রয়েছে সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কতর্ন করা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, একত্রে বিষয় কোড পযার্য়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।