জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণ সেই প্রতিষ্ঠানকে ফের কাজ দিল ইসি

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কাগজে প্রিন্ট করা মানহীন ৯৩ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেনি নিবার্চন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের এ সিদ্ধান্তের কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্মাটর্ টেকনোলজিস বিডিকে জানিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া ইসি নতুন করে কাডর্ ছেপে দেয়ার জন্য একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় চুক্তি করেছে। এর আগে দরপত্রে সবচেয়ে বেশি দাম হঁাকিয়ে (প্রায় ৯ কোটি টাকা) প্রতিষ্ঠানটি কাজ পেয়েছিল। বিনিময়ে নিম্নমানের কাডর্ গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভুল করেছে। তারা মানহীন কাডর্ তৈরি করেছে। সে জন্য ইসি প্রতিষ্ঠানটির জামানতের টাকার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ জরিমানা হিসেবে কেটে নেয়ার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি আথির্কভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি তারা যাতে পুষিয়ে নিতে পারে, সে জন্য দ্বিতীয় দফায়ও তাদের কাজ দেয়া হয়েছে। ইসির সিদ্ধান্ত ছিল, ২০১২ সালের পরে ভোটার হওয়া ৯৩ লাখ ভোটারকে স্মাটর্কাডের্র পরিবতের্ আপাতত কাগজে প্রিন্ট ও ল্যামিনেট করা জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে। এজন্য তারা স্মাটর্ টেকনোলজিসকে দায়িত্ব দেয়। চুক্তির শতর্ অনুযায়ী ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাডর্ ছাপার কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিধাির্রত সময়ে কাডর্ ছাপার কাজ শেষ করতে পারেনি। এ বছরের ফেব্রæয়ারিতে এসে কাজ শেষ হলেও ইসি তদন্ত করে জানতে পারে, ছাপা হওয়া কাডর্ অত্যন্ত নিম্নমানের। জানা যায়, মূলত স্মাটর্ টেকনোলজিসের নাম ব্যবহার করে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের কয়েকজন কমর্কতার্ কাডর্ ছাপার কাজ করেছেন। এসব কাডর্ যথাযথ প্রিন্টারে না ছেপে আগারগঁাওয়ের বিভিন্ন গলিতে স্থাপিত কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে ছাপা হয়েছে। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, ১৫ জুলাই স্মাটর্ টেকনোলজিসের সঙ্গে ইসির নতুন করে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা ৯৩ লাখ কাডর্ নতুন করে ছেপে দেবে। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইসি ভবনের ১১ তলায় মেশিন বসিয়ে এবং ইসির তত্ত¡াবধানে কাডর্ ছাপার কাজ করা হবে। ইসি সচিবালয় সূত্র আরও জানায়, ছাপা হওয়া মানহীন ৯৩ লাখ কাডর্ ইসির শীষর্ কমর্কতাের্দর উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে। এবারের কাজে স্মাটর্ টেকনোলজিসের ৬০ জন দক্ষ কমীর্ ইসিতে নিয়মিত উপস্থিত থেকে কাজ তদারকি করবেন। জানতে চাইলে স্মাটর্ টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগেরবার আমরা ভুল করেছি। যে কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনামের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এবার সেই ভুল শুধরে নিয়ে কাজ করা হবে এবং ইসির অনুমোদন না নিয়ে কোনো কাডর্ সরবরাহ করা হবে না।’