অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চনে সক্ষম হবে ইসি জামার্নমন্ত্রীকে হাসিনা

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বাংলাদেশের বতর্মান নিবার্চন কমিশন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নিবার্চন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জামাির্নর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিয়েলস আনেন বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে একথা বলেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের আথর্-সামাজিক উন্নয়ন, বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চন, রোহিঙ্গা সংকট এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার বিভিন্ন খাত নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ হাসিনা দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘নিবার্চন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নিবার্চন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।’ চলতি বছরের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তত্ত¡াবধায়ক সরকার পুনবর্হালের দাবিতে দশম সংসদ নিবার্চন বজর্ন করা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবারও নিবার্চনকালে ‘নিদর্লীয়’ সরকারের দাবি তুলেছে। নিবার্চন কমিশন নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে তাদের। বিষয়গুলো নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের দৃষ্টি আকষর্ণ করেছেন বিএনপি নেতারা। এই প্রেক্ষাপটে জামাির্নর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নিবার্চন কমিশনের স্বাধীনতা, সক্ষমতা ও কাযর্ক্রম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের নিবার্চন কমিশন সম্পূণর্ স্বাধীন এবং ইতোমধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার পযাের্য়র ছয় হাজারেরও বেশি নিবার্চন সম্পন্ন করেছে। এসব নিবার্চনে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই এবং এই নিবার্চনগুলোতে কখনো আমরা এবং কখনো বিরোধী দল জয়ী হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের দীঘর্ আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামরিক শাসনের জন্য এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ভেঙে পড়েছিল।’ নিয়েলস আনেনের এটাই বাংলাদেশে প্রথম সফর। বাংলাদেশের সঙ্গে জামাির্নর বন্ধুত্বপূণর্ সম্পকর্ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। নাগরিকদের জন্য ই-পাসপোটর্ তৈরিতে জামার্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আথর্-সামাজিক উন্নয়নের ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করেন নিয়েলস আনেন। কারিগরি শিক্ষায় জামাির্নর সুনামের কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। রোহিঙ্গা শরণাথীের্দর মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংখ্যায় তারা স্থানীয় জনগণকেও ছাপিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এই রোহিঙ্গা সমস্যার একটি শান্তিপূণর্ সমাধান চায়। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জামাির্ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে নিয়েলস আনেন বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারের জন্য ব্যাপক সমস্যা। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, জামাির্নতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ এবং বাংলাদেশে জামাির্নর রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিঞ্জ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।