কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা
২১ ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার এলাকাজুড়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ফুট পেট্রোলিং, ড্রোন পেট্রোলিং, মোবাইল পেট্রোলিং এবং সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকির কোনো তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
সাংবাদিকদের
\হএক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একুশে বইমেলায় আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে, সিসি ক্যামেরার দিয়ে, সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট, সিকিউরিটি ইউনিট সব সেখানে কাজ করছে। আর যে ছোটখাটো ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে সেগুলো বইমেলা কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময় সেখানে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একুশে ফেব্রম্নয়ারি রাত থেকেই মানুষজন এখানে আসবেন। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকায় কিছু কিছু গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে তা আমরা লিখিতভাবে জানিয়ে দেব। সাধারণত পলাশীর মোড় থেকে এখানে আসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই এলাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলো দেওয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা সেটি জানিয়ে দিয়েছি। এখানে আমাদের একটি ম্যাপ তৈরি করে দেওয়া আছে। যারা আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, শৃঙ্খলা মেনে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এখানে রেখে আসবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থান থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে সারা বিশ্বে নন্দিত হয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ সারা বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা হয়ে থাকে। জঙ্গির নিয়ন্ত্রণে টিম সিটিটিসি, এটিইউসহ আমাদের অন্য সংস্থা নিয়মিত কাজ করছে। এই মুহূর্তে জঙ্গি হুমকির কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারপরও পুলিশ সব হুমকি মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে থাকে।