সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস গ্রেপ্তার

৫ আইনজীবী রিমান্ডে

প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারামারির মামলায় বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রাজধানীর তোপখানা রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপির আইন-বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা জোনের (গোয়েন্দা বিভাগ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আজহারুল ইসলাম বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি রহুল কুদ্দুসকে আটক করার তথ্য জেনেছি।' আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি সন্ধ্যায় তোপখানা রোডের চেম্বার থেকে বের হওয়ার পর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে তার এক সহকর্মীর বরাত দিয়ে কায়সার কামাল জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দুই দিনের ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ভোট গণনা নিয়ে শুক্রবার ভোরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই দিন ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার বিকালে আবার ভোট শুরু হয়েছে। হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ)। মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন সাইফুর রহমান। সেখানে আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী) প্রধান এবং রুহুল কুদ্দুসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। নাহিদ সুলতানা যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। মামলা হওয়ার পর নাহিদ সুলতানাকে গ্রেপ্তারে কয়েক দফায় তার ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন আইনজীবী ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক।