রমজান-ঈদে দুস্থদের জন্য ১৫ কেজি চাল

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রম্নপ ফিডিং) আওতায় অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ১৫ কেজি হারে চাল দেবে সরকার। এ জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে জেলা প্রশাসকদের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ৬৪টি জেলার ৪৯৩টি উপজেলায় এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৯টি পৌরসভার অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারের জন্য ১৫ কেজি হারে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এ জন্য উপজেলায় এক লাখ ৩২ হাজার টন এবং পৌরসভার জন্য ১৮ হাজার ২৯৯ টনসহ মোট এক লাখ ৫০ হাজার ২৯৯ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হলো। ৪৯৩টি উপজেলায় ৮৮ লাখ এবং ৩২৯টি পৌরসভার ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন ভিজিএফ কার্ডধারী এ সহায়তা পাবেন। জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন। বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদমশুমারি ২০১১ এর জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দুস্থ আ অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যা আক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ১২টি শর্ত দিয়ে এর চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ বলে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিনমজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো সম্পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্রঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু'বেলা খাবার পায় না। তালিকা এমনভাবে করতে হবে যেন একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। বরাদ্দ করা খাদ্যশস্য আগামী ১৪ জুনের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে এবং ঈদের আগেই বিতরণ কার্যক্রম শেষ করতে হবে বলেও বরাদ্দপত্রে উলেস্নখ করা হয়েছে। উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০ শতাং নারীকে অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট জেলা পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা দায়ভার বহন করবেন।