চুয়াডাঙ্গায় দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষ
আহত বিএনপি নেতার হাসপাতালে মৃতু্য
প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে সুলতান (৪৫) নামে ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সোহরাব (৬০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুলতান উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, ২৩ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে উপজেলার বোয়ালমারীর ফকিরপাড়া মোড়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহত সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উলেস্নখ করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া-গচিয়ার পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রম্নতার জেরে বিএনপির দুই গ্রম্নপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রম্নপের ৫/৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়। এদের মধ্যে নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া-খলিশা পাড়া) বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সুলতান গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে দ্রম্নত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠান।
এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ২৮ অক্টোবর সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ বুধবার বিকালে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি গচিয়ার পাড়া গ্রামের ভরসা আলীর ছেলে সোহরাবকে আটক করতে সক্ষম হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও রাজশাহী মেডিকেলে ৮ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ৯টার দিকে সুলতান মারা যান। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।