'তুলে নেয়ার' ১১২ দিন পর ফিরে এলেন নাটোরের নিখোঁজ যুবলীগ নেতা জামিল হোসেন মিলন। বৃহস্পতিবার ভোরে অটোরিকশায় করে নিজ বাড়ি নাটোর শহরের হাফরাস্তা তালতলা এলাকায় আসেন। তাকে দেখতে বহু মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জানান।
মিলনের দাবি, তাকে এতদিন অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার কারণেই তাকে এ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
মিলনের বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এমদাদুল হক বলেন, সকাল ছয়টার দিকে অটোরিকশায় করে তার ছেলে মিলন বাড়ির পাশের তালতলা হাফরাস্তা মোড়ে এসে নামেন। খবর পেয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান। পরে এলাকার বহু মানুষ তাকে দেখতে সেখানে ভিড় করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাবু হোসেন বলেন, তিনি খবর পেয়ে সকাল আটটার দিকে মিলনকে দেখতে যান। এ সময় তাকে আনমনা মনে হয়েছে। তার মুখে দাঁড়ি গজিয়েছে। মাথার চুল বড় হয়েছে। শরীর আগের চেয়ে শুকিয়েছে। এতদিন কোথায় ছিলেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি লোকজনকে বলেন, 'আপনারা আমাকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাই এই অবস্থা।' তিনি ফিরে আসতে পেরে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তার মুক্তির জন্য যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তবে জামিল হোসেন মিলন তার নিখোঁজের দিনগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি বলে বাবু দাবি করেন।
গত ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাতে জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামিল হোসেন মিলনকে হাফরাস্তা তালতলা মোড়ে তার অফিস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মুক্তির দাবিতে তার কর্মী-সমর্থকরা টানা ১৫ দিন নাটোর-ঢাকা সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে।
