সরকারকে আরও তথ্য দিয়েছে ফেসবুক

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে আরও ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট ১৪৯টি অনুরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মোট ১৯৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৪ শতাংশ তথ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারকে দিয়েছে বলে তাদের সর্বশেষ 'ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট' এ বলা হয়েছে। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল সরকার। আর ১৩০টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে ছিল 'জরুরি' অনুরোধ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাওয়া অনুরোধের ১৬ শতাংশ তথ্য তারা সরকারকে সরবরাহ করেছে। আর সরকারের জরুরি অনুরোধের ক্ষেত্রে ৪৮ শতাংশ তথ্য দিয়েছে। বরাবরের মতোই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের এই প্রতিবেদনে কোন দেশের সরকার কতগুলো কী ধরনের তথ্য চেয়েছে সেই সংখ্যাই কেবল প্রকাশ করেছে। যেসব অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে বা যেসব অ্যাকাউন্টের তথ্য দেয়া হয়েছে সেগুলো প্রকাশ করা হয়নি। কখনো কখনো আইনি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য কোনো অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের অনুরোধেও সাড়া দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গত জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এ রকম ৩১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণের অনুরোধ পাওয়ার কথা ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর নাম বা কনটেন্ট সম্পর্কে কোনো তথ্য ফেসবুকের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থাকে ব্যবহারকারীদের কতটা তথ্য দিচ্ছে তা বছরে দুইবার প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের অনুরোধ ২০১৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমবার ফেসবুকের সাড়া পায়। তথ্য দেয়া শুরু করার পর থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে বেশি অনুরোধ পেয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এক বছরে। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ১৫২টি অনুরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মোট ২০৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ তথ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারকে দিয়েছে। ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন বলছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফ থেকে অনুরোধের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে যেখানে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৫টি অনুরোধ পেয়েছিল, পরের ছয় মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৬৩৪টি। শেষ ছয় মাসে ৭৩.১ শতাংশ ক্ষেত্রে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তথ্য চেয়ে অনুরোধের দিক দিয়ে বরাবরের মতোই শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে মোট ৬৩ হাজার ৬২২টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ফেসবুক যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে তথ্য দিয়েছে। এদিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মোট ২৭ হাজার ৪১০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে ৫৩ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া পেয়েছে দেশটির সরকার।