সড়কে দুর্ঘটনায় মৃতু্যর ক্ষোভে ট্রেনে পাথর হামলা

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় দল বেঁধে একটি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কয়েকটি কোচের জানালার কাচ ভাঙার ও কয়েকজন যাত্রী আহত হওয়ার খবর দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টায় কমলাপুর ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেনে এই হামলা হয়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, 'সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতু্যর পর তার স্বজন ও এলাকার লোকজন ট্রেনে হামলা করে।' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসা ৫৪ মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কমলাপুর থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে আসছে। আর খিলগাঁও রেলগেটের ঠিক আগে রেললাইনের দুপাশে একদল লোক দাঁড়িয়ে আছে। ট্রেনটি কাছাকাছি আসতে তারা ওই ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারছে। ট্রেনটি ওই স্থান অতিক্রম করা পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করে যাচ্ছিল তারা। তাদের বেশিরভাগই পাথর মেরেছে ট্রেনের জানলার কাচ লক্ষ্য করে। ভিডিওতে দেখা গেছে লাল শার্ট পরা একজন ট্রেনের ইঞ্জিনে থাকা লোকোমাস্টারকে লক্ষ্য করে পাথর মেরেছেন। ট্রেনে পাথর মারার সময় সাদা এবং হলুদ পাঞ্জাবি পরা দুজন লোক দুপাশ থেকে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছেন। তবে তাদের থামানো যায়নি। স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, 'কমলাপুর থেকে জামালপুরের তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল। খিলগাঁও যাওয়ার পর ওই ট্রেনে আক্রমণ করে এক দল লোক।' ঘটনার সময় খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় দায়িত্বে থাকা গেটম্যানদের বরাতে তিনি বলেন, 'তিন-চার দিন আগে খিলগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবক আহত হয়। স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। রেললাইন কাছাকাছি হওয়ায় ওই ব্যক্তির এলাকার লোকজন ও স্বজনরা এসে রেললাইনে জড়ো হন।' স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, 'তারা ইট-পাথর মেরে লোকোমাস্টারের রুমের গস্নাস ভেঙে ফেলেছে। কয়েকটি কোচের গস্নাসও ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ওই ঘটনায় রেলের কোনো সংশ্লিষ্টতাই নেই, তারপরও ট্রেনে হামলা করা হলো।' এ ঘটনায় কাউকে চিহ্নিত করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'এটা বলতে পারব না। বিষয়টি থানা দেখছে। যতদূর জানি, ঘটনার পর পুলিশ সেখানে গিয়েছিল, তারা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে।' শনিবার কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, 'রেলওয়ে এখনো এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এজন্য তারা আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেননি। আমরা ঘটনাটি শুনেছি। আমরা আমাদের মতো ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের কাছে কমপেস্নইন দিলে ওটা ধরে আমরা তদন্ত শুরু করব। অফ দ্য রেকর্ড অনেক কিছুই আছে। কিন্তু আইন মোতাবেক তদন্ত করতে হলে একটা মামলা নিতে হবে। কমপেস্নইন না পেলে আমি কিভাবে আগাব।' এর আগে ১৮ নভেম্বর ঢাকার মহাখালীতে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেদিন ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।