মতবিনিময় সভায় ডিএমপি উপকমিশনার
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা হবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত
প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকাকে যানজট, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নজমুল হাসান। সেই সঙ্গে তিনি তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে মহাখালীর ইমপালস হাসপাতাল পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন পার্কিং নিষিদ্ধ করেছেন। হাইড্রোলিক হর্নের বিরুদ্ধে আগামী রোববার থেকে পুরো ঢাকায় সাঁড়াশি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো গাড়িতে এই হর্ন থাকলে কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দিলেন ট্রাফিক পুলিশকে।
সোমবার ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও এলাকাটির সুধীজনদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) এমন ঘোষণা দেন।
এর আগে মতবিনিময় সভায় তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকাদের বক্তব্য শোনেন। প্রায় সবার বক্তব্যেই যানজট, মাদক সমস্যা, প্রকাশ্যে ও নীরবে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন জায়গা-জমি, অফিস-আদালত ও ফুটপাত দখল-বেদখল ও পাল্টা দখল, মাদক সমস্যা, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, পুলিশের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি, ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে দায়ের করা মামলায় মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করা, শিল্প কলকারখানায় অস্থিরতা সৃষ্টি, রিকশা, ট্রাক ও কাভার্ড দিয়ে রাস্তায় জায়গা বন্ধ করে রাখার কারণে যানজটের সৃষ্টি হওয়াসহ নানা প্রসঙ্গ আসে। সবমিলিয়ে ২৪ জনের বক্তব্য শোনেন অতিরিক্ত কমিশনার।
পরে অতিরিক্ত কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, এলাকাবাসী যদি সহযোগিতা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকা যানজটমুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে তিনিও মাঠে নামবেন। হকারদের কারণে ফুটপাত দখলে থাকছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে থাকা দেশের সবচেয়ে বড় ট্রাক স্ট্যান্ডের কারণে রাস্তার অধিকাংশ জায়গা বেদখলে থাকছে। এতে করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতে ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে। এ থেকে এলাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে হবে। প্রয়োজনে সুধীজন ও ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে পাড়ায় পাড়ায়, মহলস্নায় মহলস্নায় এবং ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন করা হবে। মাদক নির্মূলের জন্য কারো সহযোগী লাগবে না। তবে অন্যান্য সমস্যা, বিশেষ করে যানজট নিরসনে স্থানীয়দের সহযোগিতা লাগবে।
শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাব্বানী হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গণমান্য ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর হতাহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।