প্রবাসীদের আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বুধবার ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আপনারা এমআরপি পাওয়া শুরু করবেন এবং পরবর্তী ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকে যারা এমআরপির আবেদন করেছেন তারা পেয়ে যাবেন।'
আসিফ নজরুল বলেন, মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে তিনি এবং পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মহামারির পর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিয়ে সংকট তৈরি হলে বিশেষ করে প্রবাসীরা বিপাকে পড়েন। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, বারবার যোগাযোগ করেও তারা নতুন পাসপোর্ট পাচ্ছিলেন না। ফলে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছিল তাদের।
ওই জটিলতার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করে আসিফ নজরুল বলেন, 'এই সমস্যা হয়েছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে। তৎকালীন যে মন্ত্রী ছিলেন উনি পাসপোর্ট ছাপানোর কাজটা ওনার একটা পরিচিত কোম্পানিকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই প্রক্রিয়ার জন্য দেড় বছর সময় ক্ষেপণ হয়। আমরা আসার পর ওই পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করে হফাস্টেস্ট ওয়েতে যাওয়ার জন্য একটু সময় লেগেছে।'
প্রবাসীদের এমআরপি নিয়ে অনেক 'কষ্ট, দুর্ভোগ ও অনেক ধরনের হয়রানি' হয়েছে, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'এত পরিমাণ পাসপোর্ট ছাপানো হচ্ছে যে, আগামী দুই-তিন বছরে এ সমস্যা আর হবে না।'
এমআরপি দেওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও বলেন আসিফ নজরুল।
এদিকে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রিন্ট ও বিতরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাই কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রায় ২৮ হাজার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন অনুমোদনসহ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠায়। এসব আবেদন পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ছাপার জন্য প্রক্রিয়াধীন ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের প্রেক্ষিতে আশা করা যায় যে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাসপোর্ট প্রিন্টের কাজ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে শুরু হবে। হাই কমিশন আশা করছে, সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হাই কমিশন বিতরণ শুরু করতে সক্ষম হবে।'