অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম পুলিশ
শুধু ঢাকাতেই নয়, সারাদেশে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া। পথচারী, রিকশা আরোহী এবং গণপরিবহণের যাত্রীদের জখম কিংবা হত্যা করে নগদ অর্থ ও মোবাইলসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নিচ্ছে
প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২৯
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে বাস থেকে নেমে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন হাফেজ কামরুল হাসান। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকায় এসে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন সোহান হোসেন সোহাগ পাবনার এক যুবক। দুস্কৃতিকারীরা তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তরার রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে সেখান থেকে সকাল পৌনে ৬টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে গত ১০ অক্টোবর রাতে ছিনতাইকারীরা রবিউল ইসলাম নামে এক নিরাপত্তাকর্মীকে বুকে, পিঠে ও হাতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
শুধু ঢাকাতেই নয়, সারাদেশেই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পথচারী, রিকশা আরোহী এবং বিভিন্ন গণপরিবহণের যাত্রীদের গুরুতর জখম কিংবা হত্যা করে নগদ অর্থ ও কাছে থাকা মোবাইলসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নিচ্ছে। তাদের দমনে পুলিশ ফুট ও কার পেট্রোলের পাশাপাশি তলস্নাশি অভিযান বাড়ালেও দিনে দিনে পরিস্থিতির আরও অবনতির হচ্ছে।
অপরাধ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুধু ছিনতাই-ই নয়, গত কয়েক মাসে ঢাকাসহ সারাদেশে খুন, চুরি-ডাকাতি, দসু্যতা, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, গণপিটুনিতে হত্যা ও ধর্ষণসহ সব ধরণের অপরাধ ভয়ঙ্করভাবে বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হিমসিম খাচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনে চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় নিজ